অনবদ্য কুটুম-কাটাম : নিবেদিতার হাতের ছোঁয়ায় মানবীর রূপ পাচ্ছে ডিমের খোলা
Nblive ইসলামপুর:ডাস্টবিনে না ফেলে কেন জানি মনে হলো এসব দিয়েও তো করা যেতে পারে কোনও সৃজনশীল কাজ।যেমন ভাবা তেমনি কাজ।গরম গরম ওমলেট খেয়ে ডিমের খোলা গুলো ডাস্টবিনে না ফেলে তুলির আঁচড়ে তা যেন হয়ে উঠলো জীবন্ত। ডাস্টবিনের বদলে সেসবের ঠাঁই হলো শোকেসে।এভাবেই অসংখ্য ডিমের খোলা বা খোসা দিয়ে একের পর এক তাক লেগে যাবার মতো শিল্প কর্ম তৈরী করেছেন ইসলামপুর ক্ষুদিরাম পল্লীর নিবেদিতা দাশগুপ্ত।একঝলক দেখে কখনোই বোঝা সম্ভব নয় যে সেসব ডিমের খোলা বা খোসা।শিল্পীর সৃজনশীল মন আর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় তা যেন অনাবিল সৌন্দর্যের এক শিল্প মঞ্জুষার জগৎ তৈরী করেছে।ডিমের খোসা দিয়ে বিমূর্ত মানবী,বাদ্য যন্ত্র,পতঙ্গ সহ একাধিক শিল্প সম্ভার তাঁর বাড়ির শোকেস তো বটেই;ছড়িয়ে আছে আনাচে কানাচে।সেসব কোথাও না শিখে কিভাবে করছেন তা সাধারণ মানুষের রীতিমতো ভাবনার বাইরে।
নিবেদিতা দাশগুপ্ত একজন প্রতিষ্ঠিত চিত্র শিল্পী।কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় আর্ট গ্যালারিতে তার আঁকা ছবি রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পীদের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়।তিনি একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ।পরিবারের কাজ সামলে অবসরগুলিতে একের পর এক ছবি আকার ফাঁকে ফাঁকে ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হস্তশিল্প তৈরির নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন তিনি।ছেলে বা মেয়ের জন্মদিনে সেই ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই শিল্পকর্ম তৈরি করে উপহার দেন তিনি।ধীরে ধীরে তাঁর বাড়ি হয়ে উঠেছে ক্রমশ হস্তশিল্পের সংগ্রহশালা।আর এসবের পিছনে যাঁর উৎসাহ আর ভূমিকা রয়েছে তিনি তার স্বামী ডাঃ আশীষ দাশগুপ্ত।ইসলামপুরের একজন বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ।নিবেদিতা দাশগুপ্তর মতো তাঁর ছেলে মেয়েরাও নিখুঁত হস্ত শিল্প তৈরি করে নিজেদের খেয়ালেই।নিজের আঁকা ছবি আর ফেলে দেওয়া জিনিসের তৈরী হস্তশিল্প দিয়েই সেজে উঠছে তার ঠিকানা।সময় পেলে বর্তমান প্রজন্মের খুদেদের নিয়ে এই বিষয়ে কর্মশালা করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।