Archiveরায়গঞ্জ

চোপড়ায় খুন বিজেপি কর্মী আমেরুল, ইটাহারের সভায় নীরব দিলীপ

NBlive ইটাহারঃ চোপড়ার বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনার ১২ ঘন্টার ব্যবধানেই ইটাহারে জনসভা করলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অথচ সেই কর্মী খুনের ঘটনা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না তাঁর ভাষণে। ফলে জেলার নিচু তলার নেতা কর্মীরা অনেকেই হতাশ। তাঁদের অনেকেই ভেবে ছিলেন সদ্য খুন হওয়া কর্মীর প্রতিবাদে মঙ্গলবার শুরু থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন দলের প্রধান সেনাপতি।

রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কথাও হয়ত ঘোষণা করবেন তিনি। কিন্তু আন্দোলনের ঘোষণাতো দুরস্থ, দিলীপ বাবু নিহত কর্মীর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করলেন না তাঁর দীর্ঘ ৩৫ মিনিটের ভাষণে। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এরকম ঘটনা শুধু চোপড়ায় নয়। সারা রাজ্য জুড়ে প্রথম থেকেই ঘটছে। মনোনয়নের সাত দিনে আমাদের ১২০০ লোক আহত হয়েছে। ৪৭৫টি জায়গায় হামলা রয়েছে। পাঁচজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের না ধরে আমাদের লোকেদেরই গ্রেফতার করছে। আমরা চাই চোপড়ায় কর্মী খুনের ঘটনাসহ আমাদের উপর যত হামলা হয়েছে সেই হামলায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হোক।

বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম জানান, ভোটের প্রচার কর্মসূচি থাকার কারণে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে আন্দোলন করার বিষয়ে এখনও তাঁরা স্থির সিদ্ধান্ত নেন নি। আদালতের রায়ে ভোটের দিন পিছলে আন্দোলনের কথা ভেবে দেখা হবে। তবে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সামগ্রিক ভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ বাবু। কর্মীদের চাঙ্গা করতে ইটাহারের সভাতেও মারের বদলা মারের নিদানই দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সোমবার রাত্রি ৮টা নাগাদ চোপড়ার ধনিয়াবস্তি এলাকায় বিজেপির ২২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির দলীয় প্রার্থী ইতি বেগমের বাড়ি থেকে বেরোনার সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী আমেরুল ইসলামের। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই কর্মীর। এরপর থেকেই থমথমে পরিবেশ রয়েছে চোপড়ায়। ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে রাতেই তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

Related News

Back to top button