NBlive রায়গঞ্জ,ইসলামপুরঃ নবান্নের নির্দেশে কথা বলছেন পুলিশ সুপার। ছাত্ররা কী গুলি বোমা নিয়ে স্কুলে আসে নাকি? অপদার্থের মতন কথা বলছেন পুলিশ সুপার। শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা এলাকার দাঁড়িভিটা গ্রামে পৌঁছে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ওরা বলছে তদন্ত করব। তবে আগে থেকে কী করে বলে দিলেন পুলিশ গুলি চালায় নি? এদিন সুজন বাবু প্রশ্ন তুলে বলেন, ছাত্ররা স্কুলে কী গুলি বোমা নিয়ে আসে? ছাত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেছেন সুজন বাবু।
শুক্রবার দিনই জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, বোমা, বে আইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বহিরাগতদের জমায়েত ছিল। কার আগ্নেয়াস্ত্রের থেকে ছোড়া গুলি কার লেগেছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ গুলি চালায় নি। পুলিশ সুপার আরও বলেন, আটক সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে বিজেপির কিছু সমর্থককের কথা জানা গিয়েছে। বাকি তদন্তের পর জানা যাবে।
শুক্রবারের পুলিশ সুপারের এমন মন্তব্যের পরেই এদিন সুজন বাবু বলেন, তদন্তই যখন এখনও হয়নি তবে আগে থেকে কী করে পুলিশ সুপার বলছেন যে, পুলিশ গুলি চালায় নি।
এদিকে এদিন রায়গঞ্জে সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপারের মন্তব্যকে রাজনৈতিক বক্তব্য বলে দাবী করেন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতারা এখন প্রশাসনের কাজ করছেন, এদিকে পুলিশ সুপার, জেলাশাসকরা তৃণমূল নেতাদের কাজ করছেন। এই ঘটনায় পুলিশ ক্ষমাহীন আচরণ করেছে। সিআইডি, সিবিআই তদন্ত শুধু ভোটের সময় নড়নচড়ন করে। তাই এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইছি বলে জানিয়েছেন সাংসদ। রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন সাংসদ সেলিম।