NBlive ইসলামপুরঃ ইসলামপুরের দাঁড়িভিটে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো রাজ্যের মন্ত্রী ও ইসলামপুরের বিধায়ককে। রবিবার সকালে মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাপসের মা। মৃতের পরিজনদের পাশাপাশি সকল গ্রামবাসীরা মন্ত্রী গোলাম রব্বানী ও বিধায়ক কানহাইয়ালাল আগরওয়ালকে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানান। তাঁরা স্পষ্টই বলেন, পুলিশের চালানো গুলিতে জখম হয়েই মৃত্যু হয়েছে রাজেশ ও তাপসের। রাজ্যের উপরে তাঁদের আস্থা নেই। তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে এই খুনের ঘটনার তদন্ত করতে হবে বলে দাবী জানান মৃতের পরিজনেরা।
এদিকে ঘটনার চারদিন পর স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী দাঁড়িভিট গ্রামে যাওয়ায় কার্যত তাঁদের তিরস্কৃত করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বিধায়ককে তাঁরা সরাসরি প্রশ্ন করে বলেন, ” তিনদিন পর আজ সময় হলো আপনার? আপনি তো আমাদের নিজেদের লোক! আমার বাড়িতে আসতে আপনার কোন ভয়?”
এদিকে মৃত রাজেশের বাবা এদিন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, “আমরা কোন দেশে বাস করি? কে সুরক্ষা দেবে আমাদের?” এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। ডিআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করা হবে। মন্ত্রীর এই জবাবের উত্তরে রাজেশের বাবা বলেন, “আমার ছেলেটাতো আর ফিরে আসবে না। ”
এদিকে অন্ধকার নামলেই গ্রামবাসীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ হয়রানি করছে, অত্যাচার করছে বলেও মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা। এদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী গোলাম রব্বানী বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করা হচ্ছে। ডিআই-য়ের দোষ ছিল। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। তদন্তে পুলিশের দোষ উঠে এলে সাজা পাবে। সাধারণ মানুষের কোনও দোষ, ইন্ধনের খোঁজ পেলে সাজা পাবে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এফআইআর হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
রাজেশের কাকা অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যকে আমরা মানি না। গুন্ডা বাহিনীর মতন পুলিশ এসে আমার ভাস্তাকে গুলি করে খুন করল। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি চাই।