পাখিদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক উত্তর দিনাজপুরের এই শিক্ষকের, মিশে আছে মমত্ববোধ ও ভালোবাসা
Nblive ইসলামপুর:পাখিদের সঙ্গে কতটা নিবিড় সম্পর্ক হলে ওরা মানুষের কোলে এসে বসে?এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সকলের জানার কথা নয়।জানেন জীবেশ বাবুর মতো লোকেরাই।কারণ পাখিদের সাথে তার একটি ভালোবাসার জগৎ তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই।তাই কোনও নিরিবিলি মুহূর্তে শালিক,চড়াই ঘুগুদের মতো অনেক পাখিই এখন ওই মানুষটির হাতে,কোলে এসে বসতে শুরু করেছে।পাখিদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকলেই বুঝি এমনটা সম্ভব। জীবেশ ঘোষ।বাড়ি ইসলামপুরের কলেজ মোড় এলাকায়।পেশায় স্থানীয় কোদালদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।মাঝে মধ্যেই পাখিদের জন্য খাবার সরবরাহ করতে করতেই ওই নিরীহ জীব গুলোর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায় তার।পাখিরাও এই ভাবেই জীবেশ বাবুর কখন যে খুব কাছের হয়ে গেছে তা যেন তিনি নিজেই বলতেই পারেননা।অসুস্থ শালিক,ঘুঘুরাও কখনও আনমনে এসে কোলে বসে পড়ে। কিচিরমিচির করে নেচে বেড়ায় ওরা।সেই অনুভূতিটা একদম আলাদা।ওদের কাছে পেয়ে ভালোবাসাটা যেন আরও গাঢ় হয়ে ওঠে।ওদের নিয়েই কখনও কখনও ভাবতে ভালোবসেন তিনি।ওদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করেও আনন্দ খুঁজে পান ওই শিক্ষক।তবে প্রচার বিমুখ পক্ষী প্রেমী ওই মানুষটি এসব কোথাও বলতে চাননা।তার এই বিষয়টি যেন নিতান্তই ব্যক্তিগত।একটা তৃপ্তির জায়গা।আর তাই শালিক,চড়ুই আর ঘুঘুদের মতো একাধিক প্রজাতির পাখিদের নিয়ে গড়ে উঠেছে তার অনুভবের বিস্তীর্ণ পরিসর।
কারণ অন্যান্য মানুষজনের থেকে পাখিদের একটা ব্যবধান থাকলেও তা যেন জয় করেছেন ওই শিক্ষক।আর এটাই তার প্রাপ্তি।পাখিদের সাথে এভাবেই যে কত আনমনা মুহূর্ত পেরিয়ে যায় তা আর অন্য কারোর জানা নেই।জানেন শুধু মাস্টারমশাই।তার এই বিষয়ে অনেকেই উৎসাহী তো বটেই এমনকি যথেষ্ট কৌতুহলীও বটে।নামটাই যার জীব দিয়ে শুরু ,জীবকুলের জন্য তার যে যথেষ্ট সহানুভূতি থাকা উচিত তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তার নামকরণও সার্থক।একথা বলা যেতেই পারে।