Archiveরায়গঞ্জ

পুরসভার সিদ্ধান্ত, রবিবার রায়গঞ্জ হবে রাজনৈতিক ঝাণ্ডা মুক্ত

 

NBlive রায়গঞ্জঃ রাজ্যপাল আসছেন শহরে। তাই আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সম্মানার্থে রায়গঞ্জের রাজপথকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের পতাকা, গেট, ব্যানার থেকে মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা। ওইদিন শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ডাক দিয়েছেন পুরপতি। এদিকে ওই দিনই বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও সভায় মূল বক্তা হিসেবে রায়গঞ্জে আসছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রচারের অন্যতম প্রধান মুখ যোগী আদিত্যনাথ। ফলে পুরসভার এই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছে বিজেপি। অবশ্য পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবেই দেখছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি। তাদের অভিযোগ, রাজ্যপালকে ঢাল করে বিজেপিকে আটকাতে চাইছে তৃণমূল পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভা।

পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসাটা আমাদের বিবেচ্য নয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এলে কাউন্ট করতাম। অন্যকোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাউন্টেবল নন এই মুহূর্তে। কারণ সেদিন বাংলার রাজ্যপাল, সাংবিধানিক প্রধান আসছেন রায়গঞ্জে। তাঁকেই মর্যাদা দেওয়া হবে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। তিনি আসছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে, যে শিক্ষার আলোকবর্তিকা নিয়ে আমাদের সকলকে যেতে হয়, রাজ্যপাল সেই বার্তা দিতে আসছেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকল সাধারণ মানুষের কাছে আমার অনুরোধ, রায়গঞ্জকে সেদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমার আবেদন থাকবে, সেদিন রায়গঞ্জের রাজপথে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা,ফ্লেক্স, ব্যানার, গেট যেন না থাকে। যদি ইচ্ছে হয় তবে ভারতের জাতীয় পতাকা সেদিন উত্তোলন করুক মানুষ।” সন্দীপ বাবুর কড়া হুঁশিয়ারি, বিনা অনুমতিতে কেউ পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানার, গেট লাগালে আইন আইনের কাজ করবে।

এদিকে রায়গঞ্জ পুরসভার এই বার্তাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবেই দেখছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন,গণতন্ত্রকে হত্যা করার কাজ করা হচ্ছে। বিজেপিকে রুখতে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। তবে কোনও ভাবেই বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয়। যোগীজির সভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে। মানুষই এই চক্রান্তের জবাব দেবে।

 

Related News

Back to top button