NBlive রায়গঞ্জঃ আশায় আশায় বুক বেঁধেছিল আপামর রায়গঞ্জবাসী। আজ সব প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠার অবসান। সুরবিলাসী কণ্ঠের মনমোহিনী জাদুতে সকলকে মাতিয়ে দিয়ে সেরা লোকশিল্পীর শিরোপা পেল সুদর্শনপুরের স্বাগতা মুখার্জি। আজ, শনিবার উত্তর বাংলা চ্যানেলে প্রদর্শিত “সারেগামা ফোক সেরা কণ্ঠ” রিয়ালিটি শো-এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আজ রায়গঞ্জের মুখ উজ্জ্বল করল একাদশ শ্রেণীর এই স্কুল পড়ুয়া।
স্বাগতা মুখার্জী। নামটার সঙ্গে পরিচিত শুধু রায়গঞ্জ শহর নয়,উত্তর দিনাজপুর জেলা তথা গোটা রাজ্য। ছোট্ট বয়স থেকেই সঙ্গীত জগতে একের পর এক সাফল্য যার ঝুলিতে। আজ সেই ছোট্ট মেয়েটিই তার কন্ঠের জাদুতে মোহিত করেছে সারেগামা ফোক সেরা কন্ঠের মঞ্চে থাকা সকল বিচারকদের। উত্তরবাংলা চ্যানেলে চলতে থাকা শ্রী শ্যাম এন্টারটেইনমেন্টস প্রেজেন্টস “সারেগামা ফোক সেরা কন্ঠ” লোকগানের রিয়ালিটি শো’র গ্র্যাণ্ড ফিনালেতে সেরার সেরা হয়ে স্বাগতা বুঝিয়ে দিল, সাধনা থাকলে সবই সম্ভব।
রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা স্বাগতার বাবা সঞ্জিত মুখার্জী পেশায় স্কুল শিক্ষক। মা সোমা মুখার্জী গৃহবধূ। চার বছর বয়স থেকে গানের শিক্ষা শুরু হয়েছিল স্বাগতার। বর্তমানে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে একাদশ শ্রেনীতে পাঠরতা স্বাগতা নয় বছর বয়সেই রাজ্যভিত্তিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল।রায়গঞ্জে একাধিক শিক্ষকের কাছে গানের তালিম নেওয়ার পাশাপাশি ছোট্টবেলা থেকেই কলকাতায় বিশেষভাবে সঙ্গীত প্রশিক্ষণ নিয়ে চলেছে স্বাগতা।
এর আগে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ২০১৪ সালে নজরুলগীতি,২০১৫ সালে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং ২০১৭ সালে লোকগীতিতে সেরার শিরোপা পেয়েছে স্বাগতা।২০১৭ এর ডিসেম্বর মাস থেকে সারা রাজ্য থেকে বাছাই করা ৪৫ জন শিল্পীকে নিয়ে উত্তরবাংলা চ্যানেলে শুরু হয় শ্রী শ্যাম এন্টারটেইনমেন্ট প্রেজেন্টস সারেগামা ফোক সেরা সেরা কন্ঠ রিয়ালিটি শো।
লোকগানকে নিয়ে এই প্রথম শুরু হওয়া কোনও রিয়ালিটি শো তে নিজের সেরা পারফরমেন্স দিয়ে নজর কেড়েছে এই গানের লড়াইয়ে সর্বকনিষ্ঠ এই প্রতিযোগিনী। লালন থেকে শাহ আবদুল করিম,মুর্শিদি থেকে ঝুমুর গান সবেতেই সাবলীল স্বাগতা অচিরেই বিচারকদের চোখের মণি হয়ে ওঠে।মিলেছে একের পর এক এপিসোডে পারফরমার অফ দ্য ডে’র মুকুট।
সেরার শিরোপা পেয়ে আজ স্বাগতার প্রতিক্রিয়া, “ছোটবেলা থেকেই নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়ে গান শিখেছি। আজ ফোক সেরা কন্ঠের লড়াইয়ে মাথায় সেরার মুকুট ওঠায় ভীষণ ভাল লাগছে। তবে আমার এই সাফল্যের সমান অংশীদার আমার বাবা-মা ও ছোট থেকে আজ পর্যন্ত যাঁদের কাছে গান শিখেছি সেই গুরুমশাইরা। আমার এই মুকুট উৎসর্গ করলাম তাঁদেরকেই।”