NBlive ইসলামপুরঃ রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রাখতে পেরে সিবিআই তদন্তের দাবী জানালেন দাঁড়িভিট গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মৃতের পরিবারকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না। মৃত ছাত্র রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ প্রশাসন যে ময়নাতদন্ত করেছেন তা ঠিক হয়নি। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলে রাজেশের। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ময়নাতদন্তে গরমিল করার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নীলকমল বাবু। আর সেকারনেই রাজ্য প্রশাসনের তদন্তের উপর ভরসা না করে তাঁরা চাইছেন এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক।
এই বিষয়ে গ্রামবাসী সুভাষ সরকার বলেন, রাজ্য সরকারের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আমরা এই হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। সিবিআই তদন্ত দাবী জানিয়ে মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। একই দাবী জানিয়ে নরেন্দ্র সিকদার বলেন, রাতের অন্ধকারে পুলিশ আমাদের উপর অত্যাচার করছে। এই ঘটনার সম্পর্কে যাঁরা কিছুই জানেন না তাঁদেরও পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এই হত্যার ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছি আমরা। তাই মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। নরেন্দ্র সিকদার আরও বলেন, আমাদের সন্দেহ কবর থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যেতে পারে পুলিশ। তাই যতক্ষণ সিবিআই তদন্ত না হচ্ছে ততক্ষণ কবর পাহারা দেব আমরা।
উল্লেখ্য, উর্দু বিষয়ের শিক্ষক নয়, প্রয়োজন বাংলা বিষয়ের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার এই দাবীতে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাঁড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে কোনও উর্দু ভাষার ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও তিনজন উর্দু বিষয়ের শিক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে প্রয়োজন বাংলা বিষয়ের শিক্ষকের। পড়ুয়াদের দাবী বিগত কয়েকদিন আগে এই দাবীতে আন্দোলনে নামার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, উর্দু বিষয়ের শিক্ষকদের যোগদান করানো হবেনা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এদিন ফের ওই শিক্ষকদের স্কুলে এনে যোগদান করানোর চেষ্টা করা হলে ফের আন্দোলনে নামে পড়ুয়ারা।
পথ অবরোধে সামিল হয় পড়ুয়ারা। নবনিযুক্ত তিন শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে পড়ুয়ারা। প্রায় ঘন্টা দুয়েক অন্দোলন চলার পর পড়ুয়াদের অবরোধ তুলতে এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। পালটা উত্তেজিতদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানেগ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ বলে জানা গেছে। এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতিমধ্যেই দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার জেলা জুড়ে ১২ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দেয় বিজেপি। শনিবার রাজ্য জুড়ে চলছে ছাত্র ধর্মঘট। এরই মাঝে মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীদের রাজ্যের উপর আস্থা না রাখার বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে এলাকায়।