
NBlive রায়গঞ্জঃ দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীকে রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়ার অভিযোগে রায়গঞ্জে চিকিৎসক পার্থসারথী দাসের বাড়িতে হামলা। ভাঙচুর চালানো হলো তাঁর গাড়ি, মোটর বাইক সহ আসবাবপত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ২৩ ওয়ার্ডের বীরনগরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় খোদ পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাসকে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি।
এদিকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কল্পিতা মজুমদারের অভিযোগ, শনিবার রাতে চিকিৎসকের উপস্থিতিতে হাসপাতালের কলবুকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় প্রশান্ত বসাকের। অমানবিক ভাবে রাস্তায় আহতকে ফেলেই হাসপাতালে কাজে যোগদেন চিকিৎসক পার্থসারথী দাস। সেই কারণে চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় পরে থেকেই মৃত্যু হয় প্রশান্ত বাবুর। এরই প্রতিবাদে এদিন চিকিৎসকের বাড়ির সামনে জমায়েত হয়েছিলাম আমরা। চিকিৎসকের দায়িত্ব জ্ঞ্যানহীন কাজের জন্য মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী জানাই আমরা। কিন্তু চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে গেলে তাঁর পরিজনেরা দরজায় তালা আটকে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরপরেই ওই চিকিৎসকের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিতরা। জানালার কাচ, আসবাবপত্র, চারচাকা গাড়ির সামনের কাচ, দুটি মোটর বাইক, বেশ কয়েকটি চেয়ার টেবিলে ভাঙচুর চালানো হয়। উত্তেজিতদের ক্ষোভ আছড়ে পরে চিকিৎসকের বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও তাঁদের দর্শকের ভূমিকা পালন করতেই দেখা যায়। এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস। উত্তেজিতদের ছত্রভঙ্গ করে এলাকা ফাকা করেন তিনি। সন্দীপ বাবুর দাবী, এই ক্ষোভ ধান্দাবাজদের। অত্যাচার করে যদি কিছু পাওয়া যায়। এগুলো আমি করতে দেবোনা। আমার পাড়ার বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। এই ঘটনা আমার কাছে দুঃ খের। হাসপাতালের কলবুকের গাড়ি ধাক্কা মারায় মৃত্যু হয়েছে। রাস্তার উপরে নির্মাণ সামগ্রী রাখা ছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা রয়েছে। মামলা হবে। পুলিশ তদন্ত করবে। মৃতের পরিবারকে কী করে সাহায্য করা যায় আমাদের সেইদিকটি দেখতে হবে।
সন্দীপ বাবুর অভিযোগ, বাইরের কিছু মানুষের উপস্থিতিতে এলাকার কিছু যুবক ভাঙচুর চালিয়েছে চিকিৎসকের বাড়িতে। ভাঙচুর করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হয় বলে জানিয়েছেন এদিন পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস।
চিকিৎসকের স্ত্রী বলেন, ডাক্তারবাবু হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। চিকিৎসক বসে ছিলেন গাড়ির পেছনে। এর থেকে বেশি আমার কিছু জানা নেই।