Nblive রায়গঞ্জঃ রমেশ শীল, বয়স ২৭, বাড়িতে বাবা মা কাকু বোন নিয়ে অভাবের সংসার। গড়পড়তা অন্যান্যদের মতোই তার চোখেও ছিল অনেক স্বপ্ন। কিন্তু ভাগ্য দেবতার পরিহাসে জন্মের পরেই মারণরোগ থ্যালাসেমিয়া বাসা বাধে। ১০ বছর বয়সে প্রথম ধরা পড়ে থ্যালাসেমিয়া। জ্বর, কাশি নিয়ম করে লেগে রয়েছে, খাওয়া দাওয়া – হাঁটা চলাতেও অপারগ, তারপর আবার নিয়ম করে রক্ত বদল।
রোজগার বলতে বাবা কাকা নরসুন্দর,আর বোনের এক বাড়িতে শিশু দেখভাল করা। মাসে যা রোজগার তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। এই অবস্থায় নিজের চিকিৎসার খরচ কীভাবে জোগাড় করবে তা ভেবেই দিশেহারা। এসব ভেবেই ১২ বছর বয়সেই রোজগারে নেমে পড়া। প্রথমে চপের দোকানে, তারপর সেলুনে কাজ করার পর বর্তমানে ২৫০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে লোকের টোটো চালানো। কিন্তু বেশীরভাগ দিনই শরীর খারাপ থাকায় নিয়মিত টোটোও চালানো হয় না।
প্রথম যখন রোগ ধরা পড়ে তখন ৬ মাস অন্তর রক্তের প্রয়োজন হলেও এখন তা কমে ২ মাস বা ৩ মাস অন্তরে এসে দাঁড়িয়েছে। ওষুধের খরচ বেশী না হলেও নিজের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভাবতেই মন কেমন হয়ে যায় রমেশের। কারণ দিনের পর দিন রক্ত বদল করার সময় কমছে, ৬ মাস থেকে এখন ৩ মাস হয়ে ২ মাসে এসে ঠেকেছে। আগামী দিনে হয়তো প্রতি মাসেই রক্ত বদল করতে হবে। তখন কী করে নিজের জীবন চালাবে সে? এই সব সাতপাঁচ ভেবেই নিজের স্বল্প আয়ের থেকেই টাকা জমানো শুরু করেছে সে। কারণ প্রাণ যতদিন আছে ততদিন এই মারণ রোগকে সাথে নিয়েই বাঁচতে হবে তাকে।
মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেই নিজের রোগের খরচ বহন করছে। কারণ এ লড়াইয়ে তার সাথী বলতে সে নিজেই।
যোগাযোগ -রমেশ শীল (৮৭৫৯৪৫১৪১৯)