Archiveপোর্টজিনবেঙ্গল লাইভ Special

আজ “ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে”- সুরের মূর্ছনায় ভাসমান গোটা বিশ্ব

ওয়েব ডেস্কঃ  সংগীতের মূর্ছনা ভালোবাসে না এরকম মানুষের সন্ধান মেলা ভার। সদ্যজাত শিশু থেকে মৃত্যুর পথযাত্রী বৃদ্ধ- সকলকেই মুগ্ধ করে সাত সুরের সরগম। আজকাল তো শোনা যাচ্ছে মিউজিকের মাধ্যমে গাছে ফুল ফোটানো হচ্ছে, সামুদ্রিক ডলফিন গান গাইছে এমনকি সুরের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা হচ্ছে নানা অসুখও। baul-PI95_l

ভারতীয় সংগীতের ইতিহাস সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যময়। রামায়ণ-মহাভারতের রাজসভাতেও রাজা মন্ত্রী অমাত্যদের সংগীতের মূর্ছনায় ভাসানোর জন্য ছিলেন গীতি-বাদ্যকার ও নৃত্য শিল্পীরা। তারপর কালক্রমে আজকের দিনে আমরা অনেকটাই থিতু হয়েছি রবীন্দ্র সৃষ্ট সংগীতে। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তের অনুভূতিকে সুরের মালায় গেঁথে তিনি আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন গীতবিতান ও স্বরবিতান।লতা , আশা , কিশোর, মুকেশ, রফি, হেমন্ত, মানবেন্দ্র প্রমুখ শিল্পীরা আজো তাঁদের সৃষ্টির জন্য অক্ষয় অমর। বাংলার মাঠে ঘাটেও ছড়িয়ে আছে বাউল, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়ার মতো সুরের মায়াজাল।   IMG_20160621_065541

অন্যদিকে বেটোফেন, মোতজার্ট, পিট সিগার, লেনন, মাইকেল জ্যাকশন মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে আপ্লুত করেছেন। ভারতীয় মার্গ সংগীতের উজ্বল তারারাও দেশ-কালের সীমা পেরিয়ে ‘সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে’ মন ছুঁয়েছে অসংখ্য মানুষের।  নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও তাঁদের নিজেদের মতো করে সাধনা করে চলেছেন সাত সুরের। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকে মিলিয়েছে এই বিশ্ব সুরের ঐকতান। আজ পৃথিবী জুরেই পালিত হচ্ছে বিশ্ব সংগীত দিবস। সংগীত প্রেমীদের কণ্ঠে কন্ঠে আজ ধ্বনিত হচ্ছে- “মিলে সুর মেরা তুমহারা, তো সুর বনে হামারা……”।

IMG_20160621_065247

এক নজরে বিশ্ব সংগীত দিবসঃ  

  • ১৯৮২ সালে আজকের দিনেই বিশ্ব সংস্কৃতির পীঠস্থান ফ্রান্সের প্যারিসে প্রথম উদজাপিত হয়েছিল “ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে”।
  • ফ্রান্সের প্রাক্তন সংস্কৃতি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাঙের মাথা তেই এমন একটি ভাবনার উদয় হয়েছিল। সংগীতকে মানুষের কাছে আরও আন্তরিক ও পেশাদার করে তুলতেই তিনি বিশ্ব সংগীত দিবস উদযাপনের কথা ভেবেছিলেন।
  • আজকে ভারত, রাশিয়া, জার্মানী অষ্ট্রেলিয়া, গ্রীস, ম্যাস্কিকো, জাপান থেকে শুরু করে আমেরিকা হয়ে পৃথিবীর ১২০ টি দেশের ৭০০-রও বেশি শহরে এই পালিত হচ্ছে “ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে”।

 

Related News

Back to top button