Archiveবেঙ্গল লাইভ Special

কুয়াশায় ঢাকা বোবা আলো আর দার্জিলিংঃ প্রথম কিস্তি

Nblive বিশেষ প্রতিবেদনঃ মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে বনধ চলছে পাহাড়ে। আগুন জ্বলছে অলিতে-গলিতে। মোর্চা ও রাজ্যের সংঘাত… অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সমগ্র দার্জিলিং-জুড়ে। পাহাড়ের রানীর বুকের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সাদা মেঘে আজ রক্তের ছিঁটে । গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ১১০ বছর থেকে চলতে থাকা এই আন্দোলন আজ জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিসম। একে একে ধ্বংসের পথে পাহাড়ের হেরিটেজ… স্থাপত্য… বিপন্ন টয়ট্রেন পরিষেবা। ভরা মরশুমে পাহাড়ে এই অশান্তির জেরে পর্যটক শূন্য দার্জিলিং। রাস্তা ঘাটে দেখা মিলছে শুধুই আগুনের ঝলকানি, সেনার টহল ও মোর্চার মিছিল। বৃষ্টির মতো যে পাহাড় আজ কাঁদছে, বলতে দ্বিধা নেই, বাঙালির মনে এক-পাহাড় ভালোবাসা ফিকে হয়ে আসছে ক্রমশ। জাঁকিয়ে বসেছে ভয়।

দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ কেন ভারত তথা পৃথিবীর নানান প্রান্তের মানুষের কাছে এক পরিচিত নাম। টুং, সোনাদা, ঘুম পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় সেই পাহাড়ের রানীর কোলে। হিমালয়ের পাদদেশে ছোট্ট এই পাহাড়ি শহরকে ঘিরে জমে আছে কতই না আবেগ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বহু সিনেমাতেও উঠে এসেছে এই পাহাড়ের ছবি। কখনও কবিতায় কখনও গান বারবার উচ্চারিত হয়েছে দার্জিলিং।

নেপাল,ভুটান ও চিন তিন আন্তর্জাতিক সীমানা বেষ্টিত এই পাহাড়ি শহরে ক্রমাগত ঘটে চলা হিংসার খবর পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লেও দার্জিলিং-এর ইতিহাস এখনও অজানা অনেকেরই। ব্রিটিশদের শাসনকালেই বাংলার অংশ হিসেবে যুক্ত হয় দার্জিলিং। আবহাওয়ায় মুগ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যনিবাস রূপে গড়ে তুলতে শুরু করে তাঁরা। চা চাষের আছিলায় দার্জিলিং ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করে বানিজ্যিক উপকেন্দ্রে। স্থাপিত হয় পুরসভা, গড়ে ওঠে একের পর এক আন্তর্জাতিক মানের স্কুল ও কলেজ। সাহেবী আভিজাত্যে বদলাতে থাকে দার্জিলিং-এর খোলনলচে। চালু হয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। স্বাধীনতা লাভের আগেই খুলে যায় পর্যটনের এক অন্যদিক। কিন্তু এরপরেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে শুরু করে পাহাড়ের পরিস্থিতি। ১৯০৭ সাল থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠলেও আশির দশকে জিএনএলএফের আন্দোলন হয়ে ওঠে হিংসাত্মক। যা নাকি চলছে এখনও।

দর্জেলিং থেকে দার্জিলিং, সিকিম ও নেপাল থেকে ভারতে অন্তর্ভুক্তি, চা থেকে পর্যটন এবং গোর্খাল্যান্ডের ১১০ বছরের ইতিহাস। ১৭৬৫ থেকে ২০১৭ প্রায় ২৫০ বছরের দার্জিলিং-এর ইতিহাস নিয়ে হাজির আমরা। চোখ রাখুন nblive.in-এ

চলবে…

Related News

Back to top button