Archiveইসলামপুররায়গঞ্জ

দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্তে নামল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

NBlive রায়গঞ্জঃ দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্তে নামল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে কমিশনের তিন সদস্যের একটি দল বাগডোগরা বিমান বন্দর হয়ে ইসলামপুরে এসে পৌঁছেছে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী সত্ত্বেও সোমবার সময় অভাবে দলটি দাড়িভিট গ্রামে যায়নি। তিন সদস্যের ওই দলের প্রধান তথা কমিশনের ডিএসপি কুরিলস জানান, মঙ্গলবার তাঁরা দাড়িভিট গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

দাড়িভিট কাণ্ডে গুলিতে নিহত দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় মানিবাধিকার কমিশনের কাছে ইণ্ডিপেণ্ডেন্ট ডিফেণ্ডার অফ হিউম্যান রাইটস হিসেবে আর্জি জানিয়েছিলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী নামে এক মহিলা সমাজকর্মী। এর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই আর্জি জানিয়ে কমিশনের কাছে আবেদন করেন নিহত দুই ছাত্রের বাবা নীলকমল সরকার ও বাদল বর্মন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘটনাটিকে তদন্তের যোগ্য বলে বিবেচনা করে কমিশন। ছায়া শর্মা নামে ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করে কমিশন। প্রাথমিক ভাবে সেই দলেরই তিনজন সদস্য সোমবার ঘটনার সরেজমিন তদন্তে ইসলামপুরে এসে পৌঁছন। আজ থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তদন্ত চালাবে এই দল।

এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে আসা নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের দাবি, দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। ফলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনগতভাবে আর দ্বিতীয় কোনও তদন্ত শুরু করতে পারে না। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “প্রোটেকশন অফ হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট – ১৯৯৩ অনুসারে কোনও ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশন তদন্ত শুরু করলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আর আলাদা করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে পারে না। ফলে এই ঘটনায় জাতীয় কমিশনের তদন্তে আসাটা বেআইনি। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশন দাড়িভিটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি লিখে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা এসেছেন। তবে তাঁরাও যেহেতু একটি সরকারি সংস্থা, তাই আমাদের প্রশাসনের তরফে তাঁদেরকে যথাযথ সহযোগিতা করা হচ্ছে।”

এই ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সমাজকর্মী তথা দাড়িভিট কাণ্ড নিয়ে জাতীয় কমিশনের কাছে অভিযোগকারী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, “এখানে অভিযোগটা পুলিশের বিরুদ্ধে। কারণ পুলিশের গুলিতেই ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবং পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনই একমাত্র উপযুক্ত সংস্থা যারা সেটার তদন্ত করতে পারে। ফলে এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার মধ্যে বেআইনি কিছু নেই।”

Related News

Back to top button