Archiveইসলামপুররায়গঞ্জ

পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য, গ্রেফতার বিজেপি নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী

 

 

NBlive রায়গঞ্জঃ এই মুহূর্তের সব থেকে বড় খবর। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ইসলামপুরের দাঁড়িভিটে পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিট নাগাদ করণদিঘি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে বিজেপি নেতাকে। তাঁর বিরুদ্ধে 505(1)(b) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ বলে সূত্রের খবর।

ঠিক কী বলেছিলেন শঙ্কর চক্রবর্তী? শঙ্কর বাবু বলেন, “পুলিশ গুলি করে দুটি তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নন্দীগ্রামে ছিল হাওয়াই চপ্পল পড়া পুলিশ, আর এখানে নীল জামা গায়ে দেওয়া পুলিশ। এই এলাকায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। দুটি প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পরেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। উলটো দিকে যাঁরা বিজেপি করছে ওখানে তাঁদেরকে রাতের বেলা ধরছে। পাশাপাশি রাতের বেলা বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সাথে অশালীন আচরণ করছে। ভয়ে মহিলারা চা বাগানে রাতে লুকিয়ে থাকছে। রক্ষক ভক্ষক হলে কাউকে না কাউকে আওয়াজ তুলতে হবে। তাই আমি বলে দিয়ে এসেছি, পুলিশ যদি রাতের বেলা ঢোকে, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে, পুলিশ আইনি না মানলে আত্মরক্ষার স্বার্থে মহিলারা আইন হাতে তুলে নেবেন। বাঁশ, বটি যা থাকবে পুলিশকে কাউন্টার করবেন। ”

এদিন শঙ্কর বাবু আরও বলেন, “সাধারণ মানুষকে বলে এসেছি, পুলিশকে সবরকম ভাবে অসহযোগিতা করবেন। কোথাও অসুস্থ কুকুর পড়ে থাকলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন কিন্তু পুলিশ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে তাঁর দিকে ফিরেও তাকাবেন না”। শঙ্কর বাবু আরও বলেন, পুলিশ জল চাইলেও কোনও দোকানদার যেন জল না দেয়”। পুলিশ বয়কটের ডাক দিয়ে এসেছি বলে মন্তব্য করেন শঙ্কর বাবু। ৫২ মাস জেল খাটতে হলেও উত্তর দিনাজপুরে পুলিশের গুণ্ডামি চলতে দেবোনা বলে হুঁশিয়ারি দেন এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি।

বিগত কয়েকদিন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ইসলামপুরের দাঁড়িভিট। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। এরই মাঝে জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী এমন উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ওই এলাকায় অশান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সব মহলে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্যের নিন্দা করার মতো ভাষা নেই। বিজেপি দল গোটা রাজ্যে এই ধরনের উস্কানিমূলক কথা বলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। আমরা চাই ইসলামপুরের ঘটনায় প্রকৃত তথ্য সামনে আসুক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।

Related News

Back to top button