Archiveপোর্টজিন

প্রসঙ্গ অঞ্জন দত্ত…ঋতুপর্ণ ঘোষ…কবিতা…ছবি…পরিবার… কী বললেন কৌশিক ঘোষ? (শেষ পর্ব)

Nblive পোর্টজিনঃ  সকাল সাড়ে দশটা। রোদঝলমলে রায়গঞ্জ। ফোন কল। হ্যালো… কথা হল অনেকক্ষণ। আয়নার মত স্বচ্ছ… মৃদু…  ঘড়িতে একঘন্টা। বাস্তবে কয়েকটা যুগ।

এনবি লাইভের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন শান্তনু মিশ্র
(শেষ পর্ব)

আপনি এবং ক্যামেরা, মানে, এই সৌখিনতার শুরু কীভাবে? কবে?

সৌখিনতা- খুব ভালো শব্দ এবং অর্থ না থাকলে তা প্রদর্শনও অসম্ভব। যাই হোক, কলেজে পড়ার সময় অ্যানালগ ক্যামেরা ছিল। তখন ক্যামেরার মতো ফটোগ্রাফি ব্যাপারটাও বেশ দামী ছিল। বাবা ছিলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত। ডন বস্কো স্কুল এবং কলেজে আমার পড়াশোনা স্কলারশিপই চালিয়েছে।
কলেজে ঢোকার পর দেখলাম আমার কিছু বন্ধু খুব ভালো ফটোগ্রাফার। ব্যস, ফটোগ্রাফি নামক আন্দোলন সেই তখন থেকেই ভেতর ভেতর ছটফটিয়ে ওঠে। কিন্তু এত দামী জিনিস বাবার কাছে চাইবো! অদ্ভুত লাগছিল।
যাই হোক, বয়স চল্লিশ।  মা, ছোট ভাই… হঠাৎ চলে যান। মনে হয়েছিল জীবন খুব সীমিত। নতুন কিছু করা যাক। এই মনে হওয়া থেকেই ক্যানোনের ইওএস ৩৫০ডি কেনা। ঋতুদা মাঝে মধ্যেই ল্যাপটপে দেখতেন ছবিগুলি। একদিন ঋতুদাই আমাকে বললেন exhibition হোক। তো, ঋতুদার অনুপ্রেরণায় একটা exhibition করেই ফেলি।

বেশ তো। প্রথম Exhibition-এর প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

দিবাকর। মানে, দিবাকর গোস্বামী। ওকে একদিন বললাম, পেইন্টিং যদি বিক্রি হতে পারে তাহলে ছবি কেন বিক্রি হবে না ?
ও শুনেই বলেছিল অসম্ভব।

করে দেখাই তো যেতে পারে…

করলামও তাই। লেন্সোমেনিয়া। এবং প্রথম exhibition এর পর ৪০ টি ছবির মধ্যে ২০টিই বিক্রি হল। দ্বিতীয় exhibition এর চারদিন আগে হঠাৎ ঋতুদা চলে গেলেন। যাই হোক, ঋতুদার অভাব পূরণ তো হবে না। কিন্তু ওঁর স্বভাব লেগে থাকবে সারাজীবন। অন্তত আমার ফটোগ্রাফি… Exhibition-এর সঙ্গে তো অবশ্যই।

ফটোগ্রাফি আপনি কীভাবে চেয়েছেন?

আমার প্রথম থেকেই মনে হত, ফটোগ্রাফির মধ্যে অন্যরকম কিছু একটা করতে হবে। সবার থেকে আলাদা। তাই একটু অন্যরকমের ছবি তোলার বিষয় আমি বেছে নেই।

“লেন্সোমেনিয়া”  প্রসঙ্গে আগামীতে নতুন কী ভাবছেন ?

খুব ইচ্ছে আছে ২০১৭ সালেই ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা। এবং সেখান থেকেই ছবি কেনার ব্যবস্থাও করা হবে। exhibitionও হবে। তবে মানুষকে ছবি দেখাবো বলে সারা বছর আর বসে থাকতে হবে না।

অভিনয় জীবন তো আপনার অনেক দিনের।

খুব বেশি নয়, বাংলায় অভিনয় মাত্র ১১ বছর। ২০০৫ থেকে। তবে অভিনয় থেকে যদি ভাষা সরিয়ে নেওয়া হয় এবং থিয়েটারকেও ধরে নেওয়া হয়, তাহলে ২০ বছরেরও বেশি সময় অভিনয় জগতে রয়েছি।

আপনার কাছে অভিনয় কী ?

আমার কাছে অভিনয় হল ‘একটা খুশির জায়গা’। নিজেকে এক্সপ্লোর করার একটা অপোর্চুনিটি হল অভিনয়। আমি মানুষ ভালোবাসি। থিয়েটারে তো বটেই এমন কী সিনেমাতেও অনেক রকম মানুষের সাথে দেখা হয়। তাঁরা যে শুধু মাত্র আমার সহ অভিনেতা অভিনেত্রী অথবা পরিচালক তা কিন্তু নয়। সিনেমা নাটক সব কিছুতেই একটা দল কাজ করে। দলের একটা বড় অবদান আছে। জানিনা সবাই কী করে নেয় ব্যপারটাকে। তবে আমার বেশ ওই মানুষগুলোর সাথে মজা করতে ভালো লাগে।

অভিনয় আমার কাছে মানুষের সাথে মানুষের মিলনের জায়গা।

আর অভিনেতা?

ইদানিং কালে মনে হচ্ছে পার্টিকুলারলি কলকাতায়। কিছু নতুন অভিনেতা – অভিনেত্রী একটা দুটো ভালো কাজ করে পার্টিতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এবং নিজেদের বেশ বড় মানের অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবেই ধরে নিয়েছে।
সমস্যাটা হল, অভিনয়কে যদি সত্যিই ভালোবাসা যায়, তাহলে কিন্তু সবসময় মনে করতে হবে-  আমি আসলে অল্পই জানি অথবা কিছুই জানিনা। আমি আমার বিশেষ বন্ধুর নাম করেই বলছি, পরমব্রত, আবির বা শাশ্বত আমি তো এঁদের সাথে নিজেকে কমপেয়ার করে বলতে পারবোনা যে আমি দশের মধ্যে ৪ অথবা ৬। আমাকে ভাবতে হবে নাওয়াজ, ইরফানের তুলনায় কী করতে পারছি। অভিনয় নিয়ে আমার মধ্যে সবসময় কাজ করে , আমার অসম্পূর্ণতা ও ইমপারফেকশনকে ডেভেলপ করা। দশ বছর আগে আমার ‘অবেলায় নিলিমা’র অভিনয় দেখে মনে হয় “কী বাজে, চোখটা একপাশে চলে গেছে”। এটা বারংবার দেখতে দেখতে যখন আমার মনে হবে আমার উন্নতি হচ্ছে তখন ভালো লাগবে। হয়তো  নিজেকে অভিনয়ে দেখবার প্রয়োজনটাও ফুরিয়ে যাবে।

পর্দায় আপনাকে ছোট চরিত্রেই আবিষ্কার করা গেছে…

আজকাল এত বেশি ছবি হচ্ছে, এত তাড়াতাড়ি হচ্ছে, যে, আমি যদি পরিচালককে বলি আমায় একটু স্ক্রিপ্ট দেবেন? হ্যাঁ, ওটা দিয়ে দেব। তোমার তো ছোট চরিত্র। আমার মনে হয় ছোট চরিত্র, বড় চরিত্র বলে কিছু হয় না। একটা ছবিতে দুই মিনিটের অভিনয়ও বিরাট হতে পারে। নাসিরুদ্দিন দেড় ঘন্টার ছবিতে দুই মিনিট অভিনয় করলেই কাঁপিয়ে দেবে। এই সিরিয়াসনেসটা বোধহয় আমাদের মধ্যে চলে যাচ্ছে। আমি বলছি না ট্যালেন্ট নেই পরিচালকদের। সময় নেই। মানে স্ক্রিপ্ট নিয়ে সবাই বসে আলোচনা করব, মানে যেটা আগে হত। সবার ফিডব্যাক নেওয়া হত। সবসময় অভিনয় করে সেই ভালো লাগা, তৃপ্তির জায়গাটা আসে না।

আপনার তো এখন পাগলের দিনিলিপি চলছে, তাই না ?

চলছে কী! অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফিল্ম মেকারের কাছে আর টাকা নেই। আমি ও রুদ্রনীল ঘোষ।  দুইজনই কাজ করার জন্য কোনো টাকা নিচ্ছি না। তবুও প্রোডাকশনের জন্য কিছু একটা টাকা লাগে। ছেলেটি বেচারা অর্ধেক কাজ করে বসে আছে। গল্পটা সত্যিই খুব ভালো। পুরো ছবিটাই একটা সাইকোলজিকাল ড্রামা। কিন্তু সেটা আদৌ শেষ হবে কী না জানিনা।

প্রসঙ্গ অঞ্জন দত্ত।
বেশ…


মানুষ অঞ্জন দত্ত, পরিচালক অঞ্জন দত্ত এবং অভিনেতা অঞ্জন দত্ত তিনজনই কি এক ?

তা হয় নাকি! সে তো এক হতেই পারেনা। কোন মানুষই হতে পারেনা। কিন্তু প্রথমেই বলি, অঞ্জন দত্তকে মানুষ হিসেবে সব থেকে বড় জায়গায় রাখি। তারপর অভিনেতা, তারপরে পরিচালক। অঞ্জন অভিনেতা ও পরিচালক এই নিয়ে তর্ক হয়। একান্তেও হয়, অনেকের সামনেও হয়। উনি বলার চেষ্টা করেন অঞ্জন পরিচালক বড় ব্যক্তিত্ব। আমরা বলি অভিনেতা অঞ্জন, পরিচালকের থেকে বড়। আমি তাঁর পরিচালনার ক্ষমতা নিয়ে এতটুকু খর্ব না করে বলছি, উনি কিন্তু অনেক বছর আগে মৃণাল বাবুর ডিরেকশনে, নবারুণ চ্যাটার্জির পরিচালনায় যে অভিনয়টা করেছেন সেই স্তরটা কিন্তু পরিচালনা নিয়ে কোনো দিন পৌঁছাতে পারেননি এবং পারবেন কী না সেই নিয়ে আমার খুব সন্দেহ আছে।
অঞ্জন দার সাথে আমার সম্পর্কটা একদমই পার্সোনাল। অভিনয়টা পরে এসেছে। ওঁর বাড়িতে আড্ডা, তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়া, দুইমাস কথা বন্ধ থাকা, এটা আগেও হত, এখনও হয়, পরেও হবে। আমার সব থেকে যেটা ভালো লাগে অঞ্জন দার মধ্যে একট শিশু সুলভ ব্যাপার আছে। একটা ষাট পেরোনো মানুষ এখনও থিয়েটার করছেন। গান করছেন। নতুন ছেলেদের নিয়ে কাজ করছেন। আজকে যারা তথাকথিত অভিনেতা তাঁদের মধ্যে অনেককেই তিনি জায়গা করে দিয়েছেন।
যেমন?
আমি যদি নাম করি, তাহলে পরমব্রত। বং কানেকশনের আগে পরম কোনো বড় স্ক্রিন পায়নি। ঊষসী পায়নি, অপরাজিতা ঘোষ, পার্ণো মিত্র পায়নি। আরোও অনেক নাম। ব্যোমকেশ করে আবিরকে তুলে ধরলেন। অনেককে এই যে নিয়ে এসেছেন, হয়তো একজন ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে তাঁর স্বার্থ থাকতেই পারে। এখন হয়তো অনেকের সাথেই তাঁর সম্পর্ক ভালো না, কারোর সাথে মাঝামাঝি, আবার কারোর সাথে খুব ভালো, কিন্তু তাঁরা কেউই একান্তে অন্তত ডিনাই করতে পারবেন না যে লোকটার এনার্জি, অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব, তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছে।

একটা যুগ বলা যায় বলছেন?

নিশ্চয়। এই জিনিসটা ঋতুদারও ছিল। সম্পূর্ণ অন্যরকম একজন ব্যক্তিত্ব।
মৃণাল বাবু, ঋত্বিক বাবু, তপন সিনহা ওই যে যুগটা, আবার থিয়েটারে উৎপল দত্ত, রুদ্রপ্রসাদ এই যে যুগটা। তারপর হঠাৎ, কেমন যেন ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টরা খুব মিডিওকার হয়ে পড়েছি। সাহিত্য, শিল্প চর্চা সব কিছুতেই।

বাংলা কবিতা পড়েন? এখনকার? পছন্দের কেউ?

জয় গোস্বামী আমার পছন্দের কবি। পলাশ বর্মণ। উনি লিটিল ম্যাগাজিন চালান। আরেকজন, সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের ইকোনমিস্ট। সাত–আটটা কবিতার বই বেড়িয়েছে। আর শুভদীপ মুখার্জি। এই তিনচার জনের লেখা আমার ভাল লাগে। দেশ পত্রিকা এখনও রাখি, শারদীয়া কবিতা এখনও পড়ি। নাম বলতে পারবো না তবে এক-দুটো মন ছুঁয়ে যায়। ছোটবেলাটা আমার এমন কেটেছে, যে বাংলা কবিতাটাও শুনলে মনে হয় উফ যদি ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারতাম। কোথাও যেন মনে হয় ইলিয়ট আমার কাছে একটু বেশি কাছের জীবনানন্দ থেকে।

লিটিল ম্যাগ? পড়েন?
সুযোগ হয়ে ওঠে না। হাতে পাই না। কলেজ স্ট্রীট যাওয়ার সময় হয় না। গ্রুপগুলোর সাথে যোগাযোগ হয়ে ওঠে না।

অভিনেতা, চিকিৎসক, ফটোগ্রাফার ও কবি হিসেবে, আপনি দশের মধ্যে নিজেকে কত দেবেন ?

এই রে, এতটা তো অসম্ভব, আমার মনে হয়, যে কোনো কিছুতে নিজেকে বিচার করতে যাওয়া ধৃষ্টতা। করাই উচিৎ না।

আপনার কাজ এবং পার্ফেকশন… আপনার ব্যাখ্যায় কীরকম?

পৃথিবীতে কোন মানুষ পারফেক্ট হতে পারে না। অক্ষমতা থেকে নিজেকে উত্তরণ করতে পারবো তখনই, যখন আমি ভাববো আমি অসম্পূর্ণ। কিছুই করতে পারিনি। মানুষের মনে গেঁথে থাকার মতো কবিতা লিখতে পারিনি। ভালো ছবি তুলতে পরিনি। ভালো অভিনয় করতে পারিনি। আসলে, শিল্প সব সময় কোয়ালিটিতে হয়। কোয়ান্টিতিতে নয়। শহরে এখন নয়া চল হয়েছে পাঁচে তিন বা আড়াইখানা স্টার দেওয়া। এটা একটা অদ্ভুত বাজে অভ্যেস। আমার কাছে মেঘে ঢাকা তারা মানে মেঘে ঢাকা তারাই, আরেকজনের কাছে সেটা আঁতলামো। তাঁর জায়গাটাকেও শ্রদ্ধা করবো, আমার জায়গাটাকেও।

প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি ছবিতে কাজ করেছেন
 পরিচালক হিসেবে কাকে এগিয়ে রাখবেন ?

ঋতুপর্ণ ঘোষ ও কৌশিক গাঙ্গুলি। কৌশিক গাঙ্গুলি খুব সুন্দরভাবে অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিক নির্ণয় করে দেন। বান্ধবী নামে একটি মাত্র টেলিফিল্মে কাজ করেছি। এক ঘন্টার ছবিতে তিনটে মাত্র চরিত্র, চান্দ্রেয়ী, চূর্ণী গাঙ্গুলী ও আমি। বাংলায় একজনের নাম বলতে হলে কৌশিক গাঙ্গুলি, হিন্দিতে খুব অল্প কাজ করলেও দিবাকর বন্দ্যোপাধায়কে এগিয়ে রাখব। যদিও নিরাজ পান্ডে, বিধু বিনোদ চোপড়ার সাথে কাজ করেছি। তবুও দিবাকর আগে।

অভিনয়, চিকিৎসা, ছবি, লেখালিখি… এই এতকিছুর পর পরিবার আপনাকে পায় ?

আমার পরিবার বলতে একটি কন্যা, একটি কুকুর ও আমার স্ত্রী। সময়টা পাই। বাড়িটা তাড়াতাড়ি চলে যাই। ছুটির দিনে বাড়িতে একসাথে সিনেমা দেখা, খাওয়া দাওয়া সবই হয়। বিশেষ করে আমার স্ত্রী খুব সাপোর্টিভ। ডিবেটিং-এর সূত্রে স্ত্রীর সাথে আলাপ। ছয় বছর প্রেমের সময় থেকেই সে জানে এই লোক এই সব করে বেড়াবেই এবং এখনও অবধি ওর সমর্থন যথেষ্টই।

পরিবার, আপনাকে সমর্থনের ভঙ্গীতে পেলই না হয়, আর আপনি? পরিবারকে পান?

হা হা হা… হ্যাঁ পাই তো। আমি জলের মতো থাকতেই ভালোবসি। ডাক্তারির সময় ডাক্তারি। কবিতার আড্ডায় কবিতা। আবার বাড়িতে এসে সবার সাথে আড্ডা, টিভি দেখা, নির্ভেজাল আনন্দ। আসলে, সবটাই করা যায় সময়টাকে ব্যবহার করতে পারলে।

ধন্যবাদ…ভালো থাকবেন.. খুব ভাল হোক আগামী।

তুমি, তোমরাও ভালো থেকো।কোলকাতা এলে জানিও।   আড্ডা হবে। গল্প হবে আরো। জানাবে কিন্তু…

নিশ্চয়। দেখা হবে। কথা হবে আবার।
ওক্কে…
(এবং কথাবার্তার মাঝখানে যা যা ঘটে গেল তার লিস্টি এইরকম-

১) একাধিকবার ডিসকানেক্ট হল ফোন। উনিই করলেন অবশেষে। বললাম, “আপনি রাখুন, আমিই কল ব্যাক করছি”। বললেন, এতটা বিনয়ের প্রয়োজন কী?

২) যাবতীয় ডেসিবেলের ইতিহাস ফিকে করে বাস হর্ন বাজিয়ে ছুটেছে সেদিন। এবং কৌশিক ঘোষ বিরক্তি দেখাননি। শুধুই জানতে চেয়েছেন, “বড্ড আওয়াজ। তোমার অসুবিধা হচ্ছে না তো?”

৩) ইত্যাদি)

Nblive এর পক্ষ থেকে কৌশিক দা, আপনার, আন্তরিকতার ঋণ এবং শুভেচ্ছা কামনা করি।
ধন্যবাদ

Related News

Back to top button