ফণাহীন কালাচই এখন ত্রাস রায়গঞ্জে
Bengal Live রায়গঞ্জঃ ফণাহীন কালাচই এখন ত্রাস হয়ে উঠছে রায়গঞ্জে। বিগত এক দুই সপ্তাহে ১০ থেকে ১২টি কালাচ উদ্ধার হয়েছে রায়গঞ্জ শহর সহ সংলগ্ন এলাকা থেকে। শুধুই কি কালাচ? তা নয়। উদ্ধার হয়েছে কালাচকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণকারী অতি বিষাক্ত শাঁখামুটিও। জানা গেছে, চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত গায়ে কালো-হলুদ রঙের রিং যুক্ত এই ধরণের সবচেয়ে বিষধর দুটি সাপ উদ্ধার হয়েছে রায়গঞ্জে। সম্প্রতি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া থেকে এমন একটি সাপ উদ্ধার করেছে পিপল ফর অ্যানিম্যালসের সদস্যরা।
জানা গেছে, কেউটে, গোখরো সাপের মতন এই সরীসৃপেরও নিউরোটক্সিক বিষ রয়েছে। জ্বালা যন্ত্রণাহীন শুধু নয়, এই সাপ কামড়ালে দংশনস্থলে কোনও চিহ্নও মেলেনা বলে জানা গেছে। তবে এই সাপ কামড়ালে বোঝার উপায়? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তলপেট ও গাঁটে গাঁটে তীব্র ব্যাথা অনুভব হবে এই সাপের দংশনে। আচমকা শারীরিক দুর্বলতাও অনুভব হতে পারে।
এই সাপের দংশনে কী মৃত্যু অনিবার্য? বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাচের অ্যান্টিভেনম প্রায় সকল হাসপাতালেই রয়েছে। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম শরীরে প্রবেশ করলে প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে না। তবে শাঁখামুটি সাপের অ্যান্টিভেনম এই অঞ্চলের হাসপাতালে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
পিপল ফর আনিম্যালসের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, কালাচ ও শাঁখামুটি এই দুই ক্রেট প্রজাতির সাপই বিষধর। ফণা না হলেও নিউরোটক্সিক বিষের দংশনে অকেজো হয়ে পড়বে স্নায়ুতন্ত্র। ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু অনিবার্য। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ব্লক থেকে বিগত এক দুই সপ্তাহে এই প্রজাতির প্রায় ১০ থেকে ১২টি সাপ উদ্ধার হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এই সাপের দেখা পাওয়ার খবর মিলছে বলে জানিয়েছেন গৌতম বাবু।
চকচকে কালো অথবা হালকা বাদামীর সাথে শাঁখার মতন সাদা রঙের রিং যুক্ত এই সাপের সাথে ঘরচিতি সাপের অনেকাংশে মিল থাকায় অনেকেই এই কালাচকে ঘরচিতি ভেবে ভূল করে। গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা ওঝাদের উপর ক্ষোভ উগরে গৌতম তান্তিয়া বলেন, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার কারণে বেশির ভাগ সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে সঠিক অ্যান্টিভেনমই একমাত্র সাপে কাটা রোগীদের সারিয়ে তুলতে পারে। প্রশাসনের উচিৎ গ্রামে গ্রামে হানা দিয়ে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ওঝাদের গ্রেপ্তার করা।