উৎসব

আজ রাতে নর রক্তে তুষ্ট হবেন কোচবিহারের বড়ো দেবী

Nblive ওয়েব ডেস্কঃ আজ নররক্তে তুষ্ট হবেন বড়দেবী। অষ্টমীর রাতে  পুজোতে নররক্তে ভেজানো পুতুল বলি দেওয়া হবে মাকে। তাই সকাল  থেকেই বড় দেবীর মন্দিরে অঞ্জলী দিতে ভিড়  ।
দেবীকে তুষ্ট করতে এক সময় নরবলির প্রথা ছিল। তবে এখন সেই রীতি নেই। তবে রাজ আমলের প্রাচীন এই পুজোতে এখনও অষ্টমীর রাতে নররক্ত দেওয়া হয়। রাজাদের পুজো কোচবিহারের বড়দেবীর।
রাজ্যশাসনের পাট চুকে গেছে কোন কালেই। তবে রাজ আমলের নিয়ম বদলের সাহস  হয়নি কোচবিহারের। পৌরাণিক রীতি মেনে পাঁচশো বছরের বেশি সময় ধরে কোচবিহারের দেবী বাড়ীর মন্দিরে দুর্গা পুজো হয় । দেবী দুর্গা এখানে বড়দেবী নামে প্রসিদ্ধ ।
ইতিহাস বলে, কোচবিহারের মহারাজা বিশ্বসিংহ স্বপ্নাদেশ পান। এরপরেই বড়দেবীর আরাধনা শুরু হয়। দেবী রক্ত বর্ণা। বিশালাকার। নেই লক্ষ্মী,  সরস্বতী,  গণেশ ও কার্তিক । দেবীর দুপাশে জয়া ও বিজয়া। বড়দেবীর বাহন সিংহের সাথে বাঘ।  মহারাজার আমলে যখন পুজো হত তখন মানুষ বলির প্রথা ছিল।  তবে পরবর্তীতে মহারাজ নরেন্দ্র নারায়ণের আমলে বলির ভয়াবহতায় রীতিতে বদল  আসে। সেই নিয়ম মেনে এখনও অষ্টমীর রাতে গুপ্ত পুজোয় মানুষের দেওয়া রক্ত তূলোর পুতুল ভিজিয়ে বলি দেওয়া হয়। তাতেই তুষ্ট হন বড়দেবী।
এক সময় রাজা মহারাজেরা এই পুজোর দায়িত্ব সামলাতেন। এখন পুজো পরিচালনার দায়িত্বে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। রাজ পরিবারের সদস্য অমিয়দুয়ার বক্সী পুজোর সূচনা করেন। পুজোর কয়েক মাস আগে ময়না কাঠের পুজো শুরু  হয় গুঞ্জবাড়ির ডাংগরাই মন্দিরে। সেই ময়না কাঠ এরপরে আসে দেবী বাড়ির মন্দিরে। এই মন্দিরে ময়নাকাঠের ওপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে গড়ে উঠবে বড়দেবীর রক্তবর্ণ মূর্তি। বংশ পরম্পরায় একই চিত্রকর পরিবার এই মূর্তি গড়েন রাজ আমল  থেকেই।

Related News

Back to top button