উত্তর দিনাজপুরে চার দিন ধরে ঘরেই মায়ের মৃতদেহ নিয়ে শুয়ে থাকলো ছেলে

চারদিন ধরে মায়ের মরদেহ ঘরেই আগলে রাখলো মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুর জেলায়।

 

Bengal Live উত্তর দিনাজপুরঃ রবীনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া এবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার সুভাষনগর এলাকায়। চারদিন ধরে মায়ের মরদেহ ঘরেই আগলে রাখলো মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। মৃতদেহ পচনের দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃত্যুর খবর জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। চোপড়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চোপড়ার সুভাষনগর এলাকায়।

উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার সুভাষনগর এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের পেটের ভাত জোগার করতেন অশীতিপর বৃদ্ধা কুসুম চক্রবর্তী। একমাত্র ছেলে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় সেভাবে প্রতিবেশীদের সাথে মেলামেশা ছিল না ওই পরিবারের। কদিন ধরে এলাকার বাসিন্দারা বৃদ্ধা কুসুম দেবীকে ভিক্ষা করতে বের হতে না দেখায় সন্দেহ হয়। এর পাশাপাশি কুসুম দেবীর বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও সন্দেহ বেড়ে যায়। তাঁরা রবিবার কুসুম দেবীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছেলে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় দিন চারেক আগে তার মা কুসুম চক্রবর্তী মারা গিয়েছেন।

তিনি মায়ের মরদেহ ঘরে রেখেই একসাথেই থাকতেন। মরদেহ পচন থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা টের পেয়ে যান। মৃতা কুসুম দেবীর ছেলে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, মা মারা যাওয়ার পর তিনি একজনকে জানিয়েছিলেন কিন্তু প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য সহযোগিতা না পেয়েই বাড়িতেই ঘরের ভেতরেই মরদেহ রেখে দিয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নিখিল মন্ডল জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধা কুসুম দেবীকে কদিন ধরে বাইরে দেখা যায়নি। এরপর আজ ওই বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ পাওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। খোঁজখবর নিতেই জানা যায় কুসুম দেবী দিন চারেক আগেই মারা গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন চোপড়া থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Exit mobile version