জাতীয়

কোন দেশ সহজেই দেবে নাগরিকত্বের অনুমোদন? জানুন বিশদে।

বর্তমানে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির নাগরিকত্ব পাওয়াও তেমন দুষ্কর ব্যাপার নয়। তবে ফ্যামিলি ভিসার পরিবর্তে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে বেশী উদারপন্থী এই দেশগুলি। অভিবাসন নীতির আওতায় বিশ্বের নানা প্রান্তের কর্মঠ ও দক্ষ কর্মীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে এই দেশগুলি।

 

Bengal Live ডেস্কঃ  ভারত-বাংলাদেশ সহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির অধিকাংশ মানুষ উচ্চশিক্ষা ও কর্মসূত্রে উন্নত দেশগুলিতে পারি দেয়। অনেকে সুনামের সাথে অভিবাসী জীবন কাটিয়ে ফিরে আসেন মাতৃভূমিতে। কেউ আবার যশ খ্যাতির সঙ্গে স্থায়ী হন বিদেশে। অনেকেই এই প্রবাসে থেকে যাওয়াকে ভালো চোখে না দেখলেও বহু শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষের মত – দেশে না থাকুক; প্রবাসে থেকেও দেশের মানুষের জন্য কাজ করা, পৃথিবীর মানুষের জন্য কাজ করা তো অপরাধের কিছু নয়!

আমের সময়ে খান আমের লস্যি। জেনে নিন রেসিপি।

অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বেশ কিছু ইউরোপীয়ান দেশ প্রবাসীদের নাগরিকত্ব নিয়ে বেশ উদার বিশেষত শিক্ষা, কর্ম ও বানিজ্য ক্ষেত্রে। স্বল্প কিছু অভিবাসন নীতি মেনে চললে সহজেই মেলে এইসব দেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব। জেনে নিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারটি যে যে বিশেষ ক্রাইটেরিয়ার ওপর নির্ভর করে-

আপনার অর্থ সামর্থ্যঃ শিল্প ও ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করলে বা সরকারকে অর্থ দান করলে অনেক দেশ নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।

আপনি কোন দেশের নাগরিকঃ বিশ্বের শক্তিশালী দেশের পাসপোর্ট অধিকারী বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলির নাগরিকেরা উন্নত দেশগুলিতে নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে বিশেষ সুবিধা লাভ করে।

যে দেশে থাকতে চান সেদেশে আপনার স্থায়িত্বকালঃ বেশিরভাগ দেশে টানা ৫ বছর বসবাস করার পর নাগরিকত্ব মিললেও কিছু কিছু দেশ ২ বছরের মাথায় নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।

বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরে

ফ্লেক্সিবিলিটি ক্যাটাগরিঃ এরকম বেশকিছু দেশ রয়েছে যেখানে আপনি সেদেশের নাগরিককে বিবাহ করলে সংশ্লিষ্ট দেশের স্থায়ী বাসিন্দা ও নাগরিক হতে পারবেন।

যেসমস্ত দেশে সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন-

১) আর্জেন্টিনাঃ প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আর্জেন্টিনা সরকার উদার নীতি গ্রহণ করেছে। আর্জেন্টিনায় বসবাসকালীন আপনার মাসিক আয় কমপক্ষে এক হাজার ডলার দেখাতে পারলেই ২ বছর পর আপনি সে দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

২) পেরুঃ আপনি ব্যবসার সূত্রে বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে পেরুতে অবস্থান করলে আবেদনের মাধ্যমে ২ বছরের মাথায় পাবেন এই দেশের নাগরিকত্ব।

৩)ব্রাজিলঃ আপনি ফ্লেক্সিবেল ক্যাটাগরির হলে ব্রাজিলের নাগরিকত্ব পাওয়া আপনার পক্ষে সবচেয়ে সহজ একটি ব্যাপার।

৪)সিঙ্গাপুরঃ বিদেশিদের অভিবাসন নীতি নিয়ে সিঙ্গাপুর প্রশাসনের উদারপন্থী নীতি রয়েছে।
আপনি সেদেশে চাকরী পেলে বা ব্যাবসা করতে চাইলে ২ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করার পর পেয়ে যাবেন সে দেশের নাগরিকত্ব। সিঙ্গাপুরের নাগরিককে বিবাহ করলেও খুব সহজেই পেতে পারেন  নাগরিকত্বের অনুমোদন।

রেস্তোরাঁর স্বাদে বানান চিকেন ললিপপ, রইলো রেসিপি

৫)কানাডাঃ বর্তমানে কানাডা হলো এমন এক দেশ যেখানে প্রবাসীরা খুব সহজেই নাগরিকত্ব পেতে পারেন।  কানাডা সরকারের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী ৫ বছর স্থায়ীত্বের মধ্যে মাত্র ৭৩০ দিন সেদেশে অবস্থান করলেই মিলবে কানাডার নাগরিকত্ব।

৬)ক্যারিবিয়ান’স কান্ট্রিঃ ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোতে যেমন কিউবা, হাইতি -এইসমস্ত দেশের শিল্পে অর্থ বিনিয়োগ করে কিম্বা সরকারকে অর্থ অনুদানের মাধ্যমে আপনি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন।

 

Back to top button