“মেয়েরা কি স্বাধীন?” লিখেছেন ঐশ্বর্য্য কর্মকার

Bengal Live পোর্টজিনঃ পোর্টজিন কি? পোর্টজিন একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এটি বেঙ্গল লাইভের (bengallive.in) এর পোর্টজিন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়।

” আমাকে আমার বাড়ির লোক প্রচুর স্বাধীনতা দেন ” – কথাটা শুনলেই কেমন যেন ভয় হয়।  মনে একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা স্বাধীনতা একটা দেওয়ার বস্তু বলে মেনে নিচ্ছি।  কথাটা যারা বলেন তারা কি আদৌ বুঝে বলেন ? তাদের অসম্মানিত বোধ হয় না !

আমরা কবে বুঝবো স্বাধীনতা নিশ্বাস নেওয়ার মতো স্বাভাবিক।  কেউ তা দিলে , সেই দেওয়ার ও সীমাবদ্ধতা থাকে। মতামতের , জীবনযাপনের , কাজের ক্ষেত্রে – এখনো কি সবটা স্বাধীন হয়েছে ? বিয়ের পর একটি মেয়ের বাড়ি হয় তার স্বামীর ঠিকানায়। জীবনযাপনের মধ্যে আসে নিয়ন্ত্রণ। অবিবাহিতরা ও খুব একটা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন না।  যে কোনো কাজে গেলে ফিরতে হবে সন্ধ্যের আগে।

 নারীর পোশাককেও গন্ডিতে বেঁধে দিচ্ছে সমাজ।  রাট পর্যন্ত ঘুরতে পারবে না পার্কে বা শহরের রাস্তায়। ভয় ও শাসন তাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। সমাজনির্দিষ্ট ” ভালো মেয়ে ” তাকে হতেই হবে।  না হলে সমাজ তাকে যে কোনো দিন ব্রাত্য করতে পারে।  

নারীর অর্ধেক আকাশ  – কবি কল্পনা করলেও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। সমাজ চায় , বাড়ির মেয়ে বা বউরা ভদ্রসভ্য কাজ করুক অর্থাৎ যেখানে পুরুষের গা ঘেষাঘেষি হওয়ার সম্ভবনা নেই। এখানেও মেয়েটির পছন্দমতো পেশা বেঁচে নেওয়ার ক্ষেত্রেও এলো বাঁধা।

এবার ধরা যাক , কোনো একটি মেয়ে শিল্পী , তার ও কি সত্যি কথা বলার স্বাধীনতা আছে ! হাত খুলে কিছু লিখতে গেলেই  সমাজ মনে করবে এ যেন তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা।

আমাদের সমাজে খুব কম মেয়েই হয়তো  জীবনসঙ্গীকে বলতে পারেন , যে তিনি যৌন জীবনে অসুখী ! বললেই বিপত্তি হয় বা বলা ভালো পুরুষ সঙ্গীটি সেই মেয়েটিকে সন্দেহের নজরে দেখেন। সেই পুরুষ সিংহ তখন তেরিয়া হয়ে জানতে চান ” আগে ক জনের সাথে শুয়েছো ? ” জাতীয় কথাবার্তা।

স্বাধীনতা মাসে পরাধীনতার কথা বলছি।  বলতে লজ্জা লাগে , খারাপ লাগছে। হয়তো কোনো একদিন আসবে যখন অন্যের থেকে প্রতিফলিত আলোতে সমাজের মেয়েকে আর আলোকিত হতে হবে না।

 

কীভাবে লেখা পাঠাবেন?
নীচে উল্লিখিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ইমেল আইডিতে লেখা পাঠাতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার~ 9635459953
ইমেল আইডি~ bengalliveportzine@gmail.com
লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং একটি ছবি পাঠানো আবশ্যক।
ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে নিজের তোলা দুটো ছবি পাঠাতে হবে।

Exit mobile version