পোর্টজিন

ম্যাকডেভিড মহাশূন্য এবং প্রতিটা জন্মের মৃত্যু – বিদ্যুৎ ভৌমিক

Bengal Live পোর্টজিনঃ পোর্টজিন কি? পোর্টজিন একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এটি বেঙ্গল লাইভের (bengallive.in) এর পোর্টজিন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়।

bengal live portzine bangla kobita

ক )
এখন অদ্ভুত এক বাতাস বইছে , বৃষ্টি বৃষ্টি গন্ধ ধোয়া বাতাস ! বাতাস নয়, অতীব পরিণতি
এই বিশ্রী সময়ে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গম হয় জীবনের
মৃত্যু বাড়ে, বেড়েই চলে সর্বনাশের মতো আয়ু
এখানে প্রভূত কষ্টে অন্ধকার গর্ভের ভেতর একাই নিঃশব্দ ;
নির্জনতা * অথচ শরীরহীন স্বপ্নগুলো প্রতিদিনের
কানাকড়ি নিয়ে বিস্মৃতির ভেতর ডুবে গেলে বুকের ড্রয়ার
খুলে কেউ একজন দেখে নিজের কঙ্কাল ! ওখানে জল ও কাদায় নিরাকার বিস্ময়ে হতবাক প্রভূত আত্মারা ,—
বেশ বিষজ্বালায় অনন্ত গভীর অতল, সে মৃত অন্তহীন অবুঝ , কিম্বা জটিল
নির্বোধ, — পরের বাক্যে কবিতার কাছাকাছি চোখ ভরা বহতী
নীরবতা ; সেটাও ইচ্ছা হলে ছুঁয়ে থেমে যায় ; অবিশ্রান্ত শ্রাবণে ! !
খ )
নতুন স্মৃতিতে ছায়ারাও অবাক ! ছায়ারা বৃষ্টিতে কখনো ভেজেনি এভাবে
শিকরের টানে শুরু হয়, অলীক আক্রোশ
প্রতিটা জন্মের মৃত্যু মহাকাশ থেকে ম্যাকডেভিড মহাশূন্য
ছিমছাম অথচ সতত যন্ত্রণা ভোগে ! বেশ কিছু অভুক্ত চোখ
দিনরাত কবিতার ভেতর সময় কাটায় — এই হোলো জীবন ;
জরায়ুর মধ্যে খোঁজে কবেকার প্রাচীন খোলোস ।
যদি মরে যাই — অথবা জ্বর, থুতু, শ্লেষ্মা, — এদেরকে ভিখারি
করে রেখে যাব ** পথ পৃথিবীময়,
গোপনতা আরও ভেতরে অনন্ত বিস্মৃত । তাই মরে যাব !
গ )
হয়তো সারারাত আত্মঘাতী স্মৃতিরা
নিজস্ব নিয়মে দিক চিহ্নহীন — ঘৃণা এবং অস্থিরতা প্রতিদিন সিঁড়ির প্রতিটা ধাপে মধ্যরাতের চাঁদ চোখ চুপ প্রণয়ে বুকের
মধ্যে রাখে হাত ! অহর্নিশ এই দুর্দিন এই আমিত্ব ভরা নিঃশব্দ
স্বভাবতই ক্যালেন্ডারে দোল খেতে খেতে অন্ধ হয়ে গেছে *
শেষ রাতে অভিমানের তালা খুলে যায়
ব্যক্তিগত স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয় মনে মনে কথাকলি, এরপর কবিতা থেকে দু’চোখ তুলে নিয়ে নিজের কপালে মাখি সর্বনাশী জ্যোৎস্না — ( এটা অবশ্য সখ করে নয়, আবার সান্ত্বনা পাব বলে নয় )
কিছু কিছু অপূর্ণতা ম্যাকডেভিড মহাশূন্য মনে হয়
সেজন্য দিক চিহ্ন মুছে অতীত স্মরণের পথে একা হেঁটে যাওয়া
পাগল বৃষ্টির দল অবুঝ শিকারী, সেখানে বিচ্ছদ জ্বালায়
নির্জন হয়ে থাকে পূর্বপরিচয় । ( নির্ঘুমের উপাখ্যান )
ঘ )
বেঁচে থাকতে তোমার অতীব কাছে চোখ ছিল সততই ঈশ্বরীও
বুকের ভেতর এক সমুদ্র ঢেউ, নতুন আকাশ থেকে তারাদের
বিজ্ঞাপন অন্তর লজ্জায় ঘুমের মতন একদলা স্বপ্ন গন্ধে
বহতাময় ! কেমন সহজ সেই ছবি এঁকে ভাসমান সুখ দেখাতে
চেয়ে ওধদি স্মৃতির ভেতর চোখাচোখি , চোখের মধ্যে ছুটে আসা স্পষ্ট ছায়া চুম্বনে মুছে **
তুমি এই মৃত্যুর আগেও শ্মশান যাত্রীদের নাম বাতাসে লিখেছ
সেই সারাদিনের বৃষ্টির স্পষ্ট কথাগুলোকে ইস্ত্রিকরা পোশাক
পরিয়ে কবিতা করেছি !
ঙ )
এই একবারই বৃষ্টি এনেছি চোখে, তোমাকে দিয়েছি
অরণ্য উপহার ! এই একবারই নরকের পথ ঘুরে লক্ষ শিরা –
উপশিরায় জন্মঋণের রহস্য খুঁজেছি,
অতলমন্ত্রে শূন্য নামে পায়ের নীচে
বৃষ্টির গোপন ধারায় এলোমেলো হয় আয়নার তেপান্তর **
তবুও এই একবারই শ্রাবণ এনেছি অন্তরীক্ষ ভেঙে !
বেশ কিছু মৃত্যু আমার চেনা হয়ে গেছে ,
আমার প্রতিজন্মের মৃত্যু আক্ষরীক এবং ভালোবাসাহীন
এই জন্যেই মুছে দিতে হয় প্রতিটা মাতৃগর্ভের স্মৃতি
মনের ভেতর থেকে যাবতীয় স্তব্ধতা, —
আদেশ দেয় তুমি পদবী ভুলে যাও !
চ )
ফের দুঃস্বপ্ন, ফের ঘুমন্ত অস্তিত্ব শরীরময়
সমস্ত আকাঙ্খার ঘ্রাণ নিছক অবহেলায় মুছে দেয়
কত পথ, কত প্রেম, কতই যন্ত্রণার অবুঝ অস্থিরতা —
এসব আমাকে বোঝায়, — আমি প্রাণহীন জীবন নিয়ে অতৃপ্তির জ্বালায় কত ~ শত বছরের আকাশে ঘুরেছি **
এই একা – একা পোশাকহীন পছন্দ – অপছন্দ অথবা ছদ্ম –
আদর্শ ; আমাকে অহর্নিশ অনন্তকাল ঘোরার – ফেরায় – ভাষায় ~~
কোথাও মৃত্যুর ছবি দর্পণে দেখা দিলে ফুল – চন্দনের গন্ধ
পাপমোচনে উৎসাহ পায় ! কী এক দেবতার কাছে আমার
প্রতিটা মৃত্যু বিশ্লেষণ , অনেকটাই ভাসমান !
ছ )
এরপর যতদিন মনে পড়া পাতা খসা বিকেলে
কে আমার কথা মনে করছে ! সেকি প্রতিটা জন্মের চেনা মুখ,
চারপাশে অসুখের ভেতর চুপচাপ হয়ে হেমন্তের চাঁদ
ঘুম কাটেনা দুঃখে – অভিমানে, স্বপ্নের পোশাক খুলে স্নান করে
অশরীর স্মৃতি ** কেউ একজন নতমুখে ঘরে বসে থাকে ,
সে কী প্রেত ? হতে পারে !
এরমধ্যে মন ভেঙে গেলে সমস্ত নির্জনতা হয় খেলার সঙ্গী
কতদিন এভাবে আসি আর যাই
কতদিন রাত ডোবা ভোরে, মৃত্যুর এক ঘন্টা পরে আবার জন্মাই ; তারপর নির্নিমেষ খুঁজি ফিরি পথ,
যে পথে দিক চিহ্নহীন দূরে আমার ঈশ্বর দাঁড়িয়ে আছে !!

 

কীভাবে লেখা পাঠাবেন?
নীচে উল্লিখিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ইমেল আইডিতে লেখা পাঠাতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার~ 9635459953
ইমেল আইডি~ bengalliveportzine@gmail.com
লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং একটি ছবি পাঠানো আবশ্যক।
ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে নিজের তোলা দুটো ছবি পাঠাতে হবে।

Related News

Back to top button