পোর্টজিন

ঊনত্রিশে জুলাই, রবীন্দ্রনাথ উচ্চারণ করলেন তাঁর শেষ কবিতা — সুমিত চট্টোপাধ্যায়

২২ শে শ্রাবণ। বুধবার। জোড়াসাঁকোয় কবির ঘরে কান্নার রোল। কিন্তু এ কী ! কবির হাত দুটো হঠাৎ বুকের কাছে চলে এল কেন ? রবীন্দ্রনাথের শেষের ক’টি দিন নিয়েই শেষের কবিতা। লিখেছেন সুমিত চট্টোপাধ্যায়।

Bengal Live পোর্টজিনঃ দোহাই ডাক্তার , আর যাই করো । অপারেশানের কথা বোলো না । কাতরস্বরে বললেন রবীন্দ্রনাথ ।
বিধান রায় একটু যেন বিরক্তই হলেন । তবু যথাসম্ভব গলাটা মিষ্টি করে বললেন – কেন এরকম ছেলেমানুষি করছেন বলুন তো ? অলরেডি অনেক দেরী হয়ে গেছে । তখন পইপই করে বারণ করলাম । শুনলেন না । কালিম্পং যাবার পরই কিরকম বাড়াবাড়ি হল দেখলেন ত ?
অভিমানী রোগী মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলেন।

ধন্বন্তরি চিকিৎসক এবার হেসেই ফেললেন । নাহ্ । আপনি রেগে গেছেন দেখছি । আচ্ছা , আপনার এর আগে অপারেশান হয়নি ?
হয়েছে । রবীন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে বললেন । লন্ডনে ।পাইলসের জন্যে । প্রায় আঠাশ ঊনত্রিশ বছর আগে ।
তারপর কেমন ছিলেন । ভাল না ?
তা অবশ্য । একেবারে ভাল না হলেও , নব্বুইভাগ ত বটেই ।
তাহলে ?
মনটা মানছে না হে । বুঝতে পারছি তোমাদের যুক্তি । আমি বুঝতে পারছি পরপারের ডাক এসে গেছে । তাই চাইছি আমার এই শরীরটা যথাসম্ভব নিটোলভাবে তেনার হাতে সমর্পণ করতে ।

না । না । এরকম বলছেন কেন ? প্রস্টেটটা বড় হয়ে গিয়ে ঝামেলা করছে । শরীরে ইউরিয়া বেডে যাচ্ছে । সুপ্রাপিউবিক সিস্টোস্টমি করে দিলেই ঝামেলা চুকে যাবে । বিধান রায় আশ্বাস দিলেন।
ও বাবা । কি অপারেশান ? এ তো বড্ড খটোমটো নাম ।
মানে হল ইউরিনারি সিস্টেমের বাইপাস । ইউরিনটা আর আটকাবে না ।
তাই বলো । যার ভালো নাম জ্যোতিষার্ণব , তারই ডাক নাম যতে । রবীন্দ্রনাথ মুচকি হেসে বললেন ।

আজ তাহলে উঠি?
বিধান রায় উঠে পড়লেন । শান্তিনিকেতন যেতে চান শুনলাম । যান, ঘুরে আসুন । তারপর একটা সেলুন কার বুক করে চটপট জোড়াসাঁকো চলে আসুন । দেরী করবেন না।
আর দেরি ! মরার জন্য আমার তর সইছে না। অস্ফুটে বললেন রবীন্দ্রনাথ ।
কিছু বললেন নাকি । বিধান রায় আবার ঘুরে দাঁড়ালেন ।
না , কিছু না । তুমি সাবধানে যেও ।

শান্তিনিকেতনে ফিরেও একই সমস্যা ।
রথীন্দ্রনাথও একদিন বলেই ফেললেন – বাবামশাই , অপারেশানটা করিয়েই নিন । সবাই বলছে ।
দূর , তোমাদের সবারই এক কথা । আমার শরীরটাও ফুটোফাটা না করে কারোর শান্তি নেই ।
রবীন্দ্রনাথ পাশ ফিরে শুলেন । বড্ড হতাশ লাগছে । বহুদিন আগে কান ভনভনানির জন্য ইউনানি ওষুধ খেয়েছিলেন । তাতে রোগ সারলো । কিন্তু বড্ড ডিপ্রেশন হয়েছিল। অ্যালোপাথির নাম শুনলেই সেইরকম ডিপ্রেশন যেন ফিরে ফিরে আসছে । আর এই কাটাছেঁডার কথা ভাবলেই কবির হাত পা যেন ঠান্ডা হয়ে আসে । তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন তাঁর যাবার সময় এগিয়ে আসছে । একসময় কত অত্যাচারই না করেছেন শরীরের ওপর । রোদে পুড়েছেন , জলে ভিজেছেন । কিস্যু হয় নি । আর এখন এত যত্নের মধ্যে থেকেও ……

দুরে আলোর একটা ঝলকানি , না ? তার মধ্যে দিয়ে একটা মানুষের অবয়ব ফুটে উঠছে না ? তবে কি ডাক এসে গেল ! ধড়মড় করে উঠে বসলেন রবীন্দ্রনাথ ।
ও হরি ! স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ।
এই কে আছ । একটা খাতা পেন নিয়ে এসো না ।
ছুটে এলেন রানী । এই যে গুরুদেব । বলুন কাকে কী চিঠি লিখতে হবে ?
না । একটা গান লেখ ত । ওই মহামানব আসে / দিকে দিকে রোমাঞ্চ জাগে ….।
কী সুন্দর গান, গুরুদেব ! আর কী মিষ্টি সুরটা !
ভালো হয়েছে না ? ছেলেমানুষের মত খুশি হলেন কবিগুরু । তাহলে এখনো ফুরোইনি ? নিজের মনেই বিড়বিড় করলেন।

পরের দিন আবার ডাক । একটা ছড়া লেখো না ।
বলুন গুরুদেব ।
লেখো – গলদা চিংড়ি তিংড়ি মিংড়ি / লম্বা দাঁড়ার করতাল… ।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেল । জীবনের শেষ পৌষমেলা চলে গেল । এবারই প্রথম পৌষউৎসবের প্রার্থনায় অংশ নিতে পারলেন না । বড্ড মন খারাপ লাগছিল , বাপ পিতেমোর ঐতিহ্য । এবারই তাতে ফাঁকি পড়ে গেল । কী করে যাবেন ? প্রায় রোজই জ্বর আসে । কবিরাজ মশাই বলেছেন ভাল করে দেবেন । সেই ভরসাতেই শান্তিনিকেতন ছাড়ছেন না । কেটে গেল জীবনের শেষ পঁচিশে বৈশাখও ।

মাঝে মাঝে বেশ ভাল লাগে । শরীরটা পুরোনো দিনের মতই তরতাজা লাগে । তারপর যে কে সেই । এরই মধ্যে চলছে কবিতা লেখা , গান লেখা ।
কী করে যে পারেন, সবাই অবাক হয় । রবীন্দ্রনাথ কী করে বোঝাবেন ! তিনি তো অক্ষরগুলোকে যেন চোখের সামনে দেখতে পান । কি মসৃণ ভাবেই না তারা একে অপরের ঘাড়ে চড়েবসে কবিতা আর গান হয়ে যায় !

কিন্তু কয়েকদিন পরে তাও যেন বন্ধ হয়ে গেল । আর শান্তিনিকেতনে রাখাটা খুবই ঝুঁকির হয়ে যাবে, সবাই এখন বুঝতে পারছে । প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশও তাগাদা করতে থাকলেন। অগত্যা কবিও মত দিলেন । ওদিকে বিধান রায়ও ভীষণ রাগারাগি করছেন । দিন ঠিক হল ।
ন’ই শ্রাবণ ।
জুলাই মাসের পঁচিশ তারিখ । শান্তিনিকেতন থেকে শেষ যাত্রা শুরু করলেন কবিগুরু । সেই কবে বাবার হাত ধরে ছোট্ট রবির এখানে আসা । কবি নিশ্চিত – আর কোনদিনই দেখতে পাবেন না এই তাল তমাল গাছ , সেই খোয়াই । কেন জানি না আজ মৃণালিনীর কথাও বড্ড মনে পড়ছে । কী ভালই যে সে বাসতো এই শান্তিনিকেতন ! ও না থাকলে আজ কি কবির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত । আর কী সাংঘাতিক পরিশ্রমই না সে করত । এককথায় সমস্ত গয়নাগাটি সে বন্ধক রেখে দিয়েছিল।

বড্ড কান্না পাচ্ছে । এমনিতে মনের আবেগ সহজে প্রকাশ করেন না রবীন্দ্রনাথ । কিন্তু আজ ছেলেমানুষের মত কান্না পাচ্ছে !
বউমা , দেখো তো একটা গগলস পাও কিনা ।
কয়েকদিন আগে রবীন্দ্রনাথের চুল দাড়ি ছোট করে কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে । গগলস পরে বেশ কিম্ভুত টাইপের দেখতে লাগছে নিজেকে । এত দু:খের মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ ফিক করে হেসে নিলেন ।
ই আই আর এর নিবারণ চন্দ্র ঘোষ তার নিজের সেলুনখানা কবিকে দিয়ে দিয়েছেন । তবে ভীষণ গরম । অনেক দিন আগে , ভিজিয়ানাগ্রামে ট্রেনে যেতে যেতে মনে হয়েছিল ট্রেনটা যেন অবিরত ‘সেনগুপ্ত দাশগুপ্ত- সেনগুপ্ত দাশগুপ্ত’ বলতে বলতে ছুটে চলেছে । সেক্রেটারি অনিলের স্ত্রী রানী চন্দকেও বলেছিলেন সেই কথাটা । আজ আবার মনে পড়ে গেল । সেই নিয়ে প্রথমে একটু হাসিঠাট্টা করলেও ট্রেনজার্নি করতে করতেই কিন্তু কবি আবার বেহুঁশ হয়ে গেলেন । কখন যে জোড়াসাঁকোর বাডিতে ঢুকলেন তা তিনি টেরও পেলেন না ।

পরেরদিনই আবার সজ্ঞানে ।
কোথায় আমার অপারেশান হবে ? কবি জানতে চাইলেন ।
হসপিটালে অপারেশান হবে না । বাডিরই একটা বারান্দাকে একদম স্টেরিলাইজ করা হয়েছে । সেখানেই হবে ।
যাক বাবা । যেখানে জন্মেছি , সেখানেই মরব । মৃদুস্বরে বললেন রবীন্দ্রনাথ ।
কিছু বললেন নাকি , গুরুদেব ? জিজ্ঞাসা করলেন ডাক্তার নীলরতন সরকার । তিনি এখন প্রায় রোজই আসেন । প্রথিতযশা ডাক্তারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি অপারেশানের বিপক্ষে । বারবার বলছেন – বিধান , সাধারণ পেশেন্ট আর রবীন্দ্রনাথের শরীর কিন্তু সমান নয় । অপারেশানের ফল খারাপও হতে পারে । অথচ আর কোন বিকল্প পথও তিনি দেখাতে পারেননি ।

ব্লাড আর ইউরিন টেস্ট প্রায় রোজই হচ্ছে । নিউট্রোফিল কাউন্টটা একটু বেশী । ইউরিনে ই কোলাইও বড্ড ।
মঙ্গলবার দিন। ঊনত্রিশে জুলাই । কবি উচ্চারণ করলেন তার শেষ কবিতা ।
তোমার সৃষ্টির পথ / রেখেছ আকীর্ণ করি / বিচিত্র ছলনাজালে / হে ছলনাময়ী / শেষ পুরষ্কার নিয়ে যায় সে যে / আপন ভান্ডারে / অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে / সে পায় তোমার হাতে / শান্তির অক্ষয় অধিকার ।
লিখেও কবির মন খুঁতখুঁত । একটু যেন ন্যাড়া ন্যাড়া লাগছে । কাল ঠিক করে দেব । ভাবলেন কবি ।
কিন্তু সে সুযোগ তিনি আর পেলেন না ।

সকালে মেজাজটা বেশ ভালো । কারণ শরীরটা শরীফ । কফি আর পেঁপে খেলেন । কবিতাটা নিয়ে বসবেন ভাবছেন । এমন সময় আবির্ভাব ডাক্তার ললিত ব্যানার্জির । নামকরা সার্জেন।
তাহলে আজই ওটিটা করে দিই ?
ওটি আবার কি ? এটি , সেটি , ওটি ।
আজ্ঞে । অপারেশানটা । ওটি মানে অপারেশান । আজই করে দি । টুকুস করে হয়ে যাবে !
করে দাও । ( পড়েছ যবনের হাতে ….।)
সকাল থেকে কিছু খাননি ত ?
খেয়েছি ত । পেঁপে আর ….
অ । ঠিক হ্যায় । তাহলে ত অজ্ঞান করা যাবে না । লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে করে দেব । কিচ্ছু টের পাবেন না ।
কবি কিন্তু খুবই ব্যথা পেলেন । মুখ বুজে সহ্য করলেন । কোনো অনুযোগ করলেন না । দুতিন দিন সাবধানে থাকতে হবে । কারণ ইনফেকশান যা হবার তা সাধারণত তিন দিনের মধ্যেই হয় ।
হল ঠিক উল্টো ।
অসুস্থতা বাড়ল তিনদিন পর থেকে । ডাক্তারেরা প্রথমে বেশ খুশি খুশি ছিলেন । কবিগুরু বোধহয় এ যাত্রাতেও স্টে করে গেলেন । অসম্ভব ওনার জীবনীশক্তি । এর আগে ভয়ানক ইরিসেপেলাস রোগে টানা পন্চাশ ঘন্টা অজ্ঞান ছিলেন । সবাইকে অবাক করে সেবার কিন্তু উঠে বসেছিলেন ।

তিনদিন পর থেকে জ্বর আবার ফিরে এল । কবি প্রায়ই বেহুঁশ হয়ে যেতে থাকলেন । যখনই জ্ঞান আসে তখন খালি বলেন – জ্বালা , গায়ে বড্ড জ্বালা । ইউরিনের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকল , কিন্তু পাস্ সেল অনেক বেডে গেল । ডাক্তারেরা বুঝতে পারলেন এবার তারা পরাজিত হবেন । হিক্কা কমাতে না পেরে বিধান রায় অসহায়ভাবে বাডির মহিলাদের কাছে বললেন- নাহ্ । আমি পারলাম না । এত দেরী করে অপারেশান হল ! তোমরা ত অনেক টোটকা জানো । দ্যাখো না । চেষ্টা করে । যদি কিছু হয় !

বাইশে শ্রাবণ । বুধবার । আগস্ট মাসের ছয় তারিখ ।
কবির রেডিয়াল পালস প্রায় অন্তর্হিত ।
অমিতা ঠাকুর প্রার্থনা করছেন – শান্তম্ শিবম্ অদ্বৈতম্ । কবির প্রিয় মন্ত্র ।
প্রার্থনা করছেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় । প্রার্থনা করছেন নির্মলকুমারী মহলানবীশ । তমসো মা জ্যোতির্গময় ।
কবির পদতলে রাখা হল চাঁপাফুল । রবীন্দ্রনাথের বড় প্রিয়।
চিনা অধ্যাপক তান ইয়ুন শান নিজস্ব ভাষায় প্রেয়ার করছেন ।

বেলা বারোটা বেজে নয় মিনিট ।
এতক্ষণ অচেতন কবি যেন সজ্ঞানে ফিরে এলেন । এত ঝরঝরে তিনি বহুদিন বোধ করেন নি । তার শরীরটা যেন লাফিয়ে উঠে ভাসতে লাগল । আরে , একি । তিনি ত সবাইকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন । এমনকি তার শায়িত শরীরটাও ! এই কি তবে মৃত্যু ? এতো বড়ই আরামপ্রদ অনুভূতি । একে তাহলে এতদিন মিছেই ভয় পেয়েছিলেন । বাহ্ ! কী সুন্দর তিনি ভেসে বেড়াচ্ছেন ! ঐ তো শিলাইদহের জমি , আকাশ , নদী । আগে কী যেন নাম ছিল ? হ্যাঁ, হ্যাঁ , মনে পড়েছে । খোরশেদপুর । ঐ তো ! পতিসর । যেখানকার তিনি এখনো জমিদার । এখানকার প্রজারা তাঁর যেন বেশি আপনজন । বড় সরল আর পরিশ্রমী ছিল । বিদায় । সবাই ভাল থেক । আরে , সামনে ওটা মৃণালিনী না ? কী যেন বলছে । আজ আমাদের ছুটি , ছুটি , ছুটি । হ্যাঁ গো , আজ আমাদের সব কাজ থেকে ছুটি । ছুটি তোমার বড় প্রিয় , তাই না ? তাই তো তোমার ডাকনামও ‘ছুটি’ । হাত বাড়িয়ে ওটা কে ? বাবামশাই !

পিছনে দাঁডিয়ে মিটমিট করে হাসছেন , কে উনি ? ও। দাদামশাই । প্রিন্স দ্বারকানাথ । দাদামশাই , আপনার সম্বন্ধে একসময় আমার অনেক ভুল ধারণা ছিল । আমি আপনার ব্যবসার কত জরুরী কাগজ পুড়িয়ে ফেলেছিলাম । আমায় মার্জনা করবেন । কবি হাত জোড করে প্রার্থনা করলেন । দ্বারকানাথ বুকে টেনে নিলেন তাঁর বংশের সবচেয়ে খ্যাতিমান পুরুষটিকে ।

জোড়াসাঁকোয় কবির ঘরটিতে উঠেছে কান্নার রোল । কবি চলে গেছেন । কিন্তু , এ কী ! কবির হাতদুটো হঠাৎ বুকের কাছে চলে এল কেন ? কবি কি তাহলে সবার কাছে বিদায় চাইলেন । বলে গেলেন – পেয়েছি ছুটি / বিদায় দেহ ভাই / সবারে আমি প্রণাম করে যাই ।
হাতদুটো আবার এলিয়ে পড়ল ।
কবি চিরতরে বিদায় নিলেন ।
পৃথিবী আরো একটু দীন হল ।

( তথ্যসূত্র : অমিতা ঠাকুর / রানী চন্দ / অমিতাভ চৌধুরীর বিভিন্ন লেখা )

Related News

Back to top button