রায়গঞ্জ

চপ ভেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ৯১% পাওয়া আশিস এখন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির ছাত্র

চপ বিক্রি করতে করতেই পড়াশোনা। উচ্চ মাধ্যমিকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পিতৃহারা আশিসের। স্নাতক স্তরে পড়া শুরু হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাশে এসে দাঁড়ানোয়।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ চপ বিক্রি করেই উচ্চ মাধ্যমিকে ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেন ডালখোলার আশিস কুমার বিশ্বাস। পরিবারের চরম আর্থিক অনটনের কথা জানতে পেরেই আশিসের পড়াশুনার সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খুশি আশিস ও তাঁর মা। ভবিষ্যতে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন আশিসের।

বছর দশেক আগে পিতৃহারা হয়েছেন আশিস। এরপর দুই ছেলের দায়িত্ব নিজে কাঁধে তুলে নিয়েছেন আশিসের মা রীনা বিশ্বাস। প্রথমে পরিচারিকার কাজ করেই সংসার চালাতেন তিনি। প্রায় চার বছর আগে থেকে উত্তর ডালখোলা মোড়ে চপ বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। পড়াশুনার মাঝেই মায়ের সাথে চপের দোকান সামলাতেন আশিস। তার মাঝেই পড়াশুনা।

শাড়ি পড়ে লাগাতার ব্যাক ফ্লিপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রায়গঞ্জের মিলি

আশিস জানিয়েছেন, মায়ের সাথে চপের দোকানে কাজ করার সাথেই পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি৷ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯১.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি অনার্সে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই ভার গ্রহণ করায় তিনি খুশি৷ ভবিষ্যতে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে আশিসের।

এই বিষয়ে আশিসের মা রীনা দেবী জানান, আমাদের মতন মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমি ভাবতেই পারছি না।

ঋদ্ধি, রিচার শহরে নেই পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট স্টেডিয়াম

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, আশিস অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি অনার্সে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। আমি শুনেছি, মায়ের চপের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছে। ওর পড়াশুনার যাবতীয় দায়দায়িত্ব মাননীয় উপাচার্য নিশ্চই মুকুব করবেন। আগেও এমন অনেক দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীর খরচ মুকুব করেছেন উপাচার্য। আমি আশাবাদী, একটা স্কলারশিপ আশিস পেয়ে যাবে। সেটা না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় যাবতীয় খরচ বহন করবে। ডালখোলা থেকে রোজ রায়গঞ্জে এসে পড়াশুনা করা সম্ভব নয়। সেই কথা মাথায় রেখে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ওর ফ্রি থাকার ব্যবস্থা করা হবে। পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় বইপত্র কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন আমাদের অপর এক অধ্যাপক কালীশঙ্কর তিওয়ারি। আশিসের গল্প সকলের কাছে শিক্ষনীয়। ওর আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।

Related News

Back to top button