রায়গঞ্জ

বিজেপির টার্গেট এবার ডালখোলা পুরসভা, যুদ্ধের প্রস্তুতি গেরুয়া শিবিরে

Bengal Live ডালখোলাঃ লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর বিজেপির টার্গেট এবার ডালখোলা পুরসভা। পৌর ভোট কবে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে পুরসভাটি দখল করতে এখন থেকেই কোমর কষে মাঠে নামছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই ডালখোলা পুরসভার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরদার সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বুথ স্তর থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি জেলা স্তরের মোট ৮ জন নেতাকে নিয়োগ করা হয়েছে ভোটযুদ্ধ সামলানোর জন্য।

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৬০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়ে দিল্লি গেছেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর নেক নজরে থাকায় মন্ত্রীও হয়েছেন দেবশ্রী। এই জয় ও সাফল্যের পর তুমুল উৎসাহ গেরুয়া শিবিরে। সেই জোস কাটতে না কাটতেই ডালখোলা পুরসভাকে টার্গেট করে ফের তৃণমূলের সাথে ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছে বিজেপি। এবার মিশন ডালখোলা।

ডালখোলা পৌরযুদ্ধে দলের প্রধান সেনাপতি হিসেবে থাকছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। যুদ্ধের কৌশল ঠিক করতে রবিবার সন্ধ্যায় ডালখোলার দাদি ভবনে দলের ডালখোলা শহর মণ্ডল কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্বজিৎবাবু সহ কয়েকজন জেলা নেতা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডালখোলা মন্ডলের সমস্ত মোর্চা সভাপতি, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ, সমস্ত বুথ সভাপতি ও প্রাক্তন সভাপতিরা। জেলা নেতাদের মধ্যে ছিলেন জেলা কমিটির তিন সহ-সভাপতি নিখিল সরকার, আব্দুল জলিল, পার্থ মজুমদার ও জেলা সম্পাদিকা কিরণ মাহাতো। ছিলেন ডালখোলা শহর মন্ডলের অবজার্ভার পুলক কুন্ডু, মন্ডল সভাপতি হরিমোহন মজুমদার।

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রণকৌশল হিসেবে ডালখোলা পুরসভার মোট ১৬ টি ওয়ার্ডকে চার ভাগে ভাগ করেছে বিজেপি। প্রতিটি ভাগে থাকছে চারটি করে ওয়ার্ড। এই একেকটি ভাগের দায়িত্বে থাকছেন একজন করে জেলা স্তরের নেতা। অর্থাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই জেলা নেতার কাঁধে থাকছে তাঁর অধীনস্থ ৪ টি ওয়ার্ডের জয় সুনিশ্চিত করার ভার। ১ থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের জেলা সহ-সভাপতি আব্দিল জলিলকে, ৫ থেকে ৮ নম্বর জেলা সম্পাদিকা কিরণ মাহাতো, ৯ থেকে ১২ নম্বর জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ মির্জা এবং ১৩ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন জেলা সহ-সভাপতি নিখিল সরকার। তার নিচে শহর মণ্ডল কমিটির একেকজন সদস্যকে নিযুক্ত করা হয়েছে একেকটি ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার জন্য। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের কী কী সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে দলের জেলা কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর পর নাগরিকদের ওই সমস্যাগুলিকে ইস্যু করে পুরসভা ঘেরাও আন্দোলনে নামা হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।

Related News

Back to top button