চলুন মাস্টারমশাই, ঘুরি বাড়ি বাড়ি, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু উত্তর দিনাজপুরে
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারে নামল তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচির সূচনা হল রায়গঞ্জে।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ মাস কয়েক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে ডান-বাম সব দলই জোর দিয়েছে জনসংযোগে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারে মঙ্গলবার থেকে রায়গঞ্জে শুরু হয়েছে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি। এদিকে “চলুন মাষ্টার মশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি” কর্মসূচি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। মূলত বিগত ১০ বছরে রাজ্য সরকার মানুষের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছে তার সুবিধা সাধারণ মানুষরা পাচ্ছে কিনা এবং সুবিধাগুলো কীভাবে পাবে মানুষ তা প্রচার করতেই শিক্ষকদের এই কর্মসূচি।
উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্য ও সদস্যারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার শুরু করেছেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান জানান, “চলুন মাষ্টার মশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি ”
উত্তর দিনাজপুর জেলার ৪ টি পুর এলাকার সব ওয়ার্ডে এবং ৯ টি ব্লকের অন্তর্গত ১৫৭৭ গ্রামের ছাত্র ছাত্রী, শ্রমিক , কৃষক , মধ্যবিত্ত , নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরীব অসহায় মানুষদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব এবং সদস্য সদস্যাগণ৷ উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয় বিধান নগরের সিধু-কানহু লেনের অাদিবাসী পাড়া থেকে৷ শিশুদের পড়াশুনার খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে খাতা, কলম , চকলেট দেওয়া হচ্ছে৷ তাছাড়াও ১০ বছরে রাজ্য সরকার দ্বারা গৃহীত ৬৯ টি প্রকল্পের সুবিধা সকল শ্রেণীর মানুষ পাচ্ছেন কিনা সেটি জানা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে সেই সুবিধাগুলি কীভাবে পাওয়া যাবে তার সহযোগিতা শিক্ষক শিক্ষিকারা করছেন। কর্মসূচি আগামী ছয় মাস চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতা গৌরাঙ্গ চৌহান।
এদিকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা জানান, রাজ্য জুড়ে আজ থেকে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা তা খোঁজ খবর করা হচ্ছে। জেলায় এই কর্মসূচি এদিন থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই কর্মসূচি ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১০ জায়গায় ক্যাম্প করে সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুর এলাকা কভার করা হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মানুষকে সব প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ পর্যায় চলবে ১৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের পাশাপাশি জন প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে মানুষের দুয়ারে পোঁছানো হবে এই চার পর্যায়ে। মোট ৭০০ ক্যাম্প করা হবে এই কর্মসুচিতে। পুরোটাই অনলাইনের মাধ্যমে মনিটরিং করছে রাজ্য।