রায়গঞ্জ

বেঁচে থেকে লড়াইটা করতে পারবো তো? প্রশ্ন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকদের

চুক্তিভিত্তিক, অস্থায়ী অধ্যাপক ও অতিথি অধ্যাপকদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতেই স্টেট এইডেড কলেজ টিচারের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ বড়দিনের ছুটিতে বন্ধ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। জানুয়ারি মাসের চার তারিখ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। কিন্তু আন্দোলন চলছেই অতিথি অধ্যাপকদের। নিজেদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও চিন্তাভাবনাই নেই অতিথি অধ্যাপকদের। কনকনে ঠান্ডায় চার রাত কাটানোর পরেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন চার জন আন্দোলনকারী। একজনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। অন্য তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলে তাঁরা আবার যোগ দেন আন্দোলনে। এদিকে শনিবার অতিথি অধ্যাপকদের আন্দোলন পড়ল ষষ্ঠ দিনে। এদিন আরও বেশ কয়েকজন আন্দোলকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

কনকনে ঠাণ্ডায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অসুস্থ চার অতিথি অধ্যাপক, আন্দোলন জারি

স্টেট এইডেড কলেজ টিচারের স্বীকৃতির দাবিতে বিগত ছয় দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধর্ণা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন অতিথি অধ্যাপক। ঘর-বাড়ি পরিবার ছেড়ে গত ছয় দিন থেকে প্রবল শীতের মধ্যেও খোলা আকাশের নীচেই দিনরাত নাওয়া-খাওয়া ভুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অতিথি অধ্যাপকরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, অনার্স, প্রোগ্রাম কোর্স, মর্নিং, ডে, ইভিনিং সিফট মিলিয়ে প্রায় সারাদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকেন অতিথি অধ্যাপকরা। ক্লাসপিছু এখন ২৫০ টাকা সাম্মানিক পান তাঁরা।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম সূচেতা দত্ত চক্রবর্তী বলেন, চুক্তিভিত্তিক, অস্থায়ী অধ্যাপক ও অতিথি অধ্যাপকদের এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দুই শ্রেণীকে এই সুবিধা দেওয়া হলেও আমাদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আমাদের ক্লাসপিছু এখনও ২৫০ টাকা সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই ন্যায্য অধিকার যতদিন আমরা পাচ্ছি না ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।

স্বাস্থ্যসাথীঃ মাকে ভর্তি নেয়নি নার্সিংহোম, ফেসবুকে ছেলের ক্ষোভের ভিডিও ভাইরাল

আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম রাকিব আলি মিনাজ বলেন, যতদিন নিঃশ্বাস চলছে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব। এটা কোনও বিক্ষোভ নয়, অধিকার পাওয়ার লড়াই। দেখা যাক কতদিনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তর আমাদের দিকে তাকায়। প্রবল শীতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে গিয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আমরা জানিনা, নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে কতদিন আর আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবো। রাকিব আলি মিনাজের প্রশ্ন, বেঁচে থেকে লড়াইটা করতে পারবো তো?

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার আগেই জানিয়েছেন, স্টেট এইডেড কলেজ টিচার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারে নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে জানানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও জানানো হয়েছে।

Related News

Back to top button