মারণরোগে আক্রান্ত রায়গঞ্জের অর্ঘ্য, ছেলের প্রাণ বাঁচাতে করুণ আর্তি অসহায় বাবার
মতিলাল শুনেছেন, অসহায় মানুষের খবর দেখে অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাই তাঁর আশা, ছোট্ট অর্ঘ্যর অসুখের কথা পড়েও যদি সরকার বা সহৃদয় কোনও ব্যক্তি সাহাযের জন্য এগিয়ে আসেন !
Bengal Live রায়গঞ্জঃ মজ্জায় মারণরোগ। ডাক্তারি পরিভাষায় নাম সিভিয়ার অ্যাপ্ল্যাস্টিক অ্যানিমিয়া। এই মারণরোগ নিয়েই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছয় বছরের অর্ঘ্য বর্মন। চিকিৎসক নিদান দিয়ে বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করতে হবে। নইলে ঘোর বিপদ। কিন্তু চিকিৎসার খরচ শুনেই মাথায় হাত পড়েছে বর্মন পরিবারের। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এত টাকা জোগাড় হবে কোথা থেকে !
রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের দেহখণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা মতিলাল বর্মন। পেশায় রংমিস্ত্রি। ঘরে আছেন স্ত্রী আলপনা বর্মন, এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বর্মন দম্পতি। কড়া নেড়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দুয়ার পর্যন্ত। কিন্তু এখনও কারও কাছ থেকেই সাহায্যের আশ্বাস পাননি।
সকাল হলেই কারখানায় ছোটেন মতিলাল। শহরের একটি ফার্নিচারের কারখানায় রংমিস্ত্রির কাজ করেন তিনি। দিনভর কাজ সেরে ঘরে ফেরেন সন্ধ্যায়। ঘরে ফিরতেই ছেলেকে বুকে জড়িয়ে স্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, “কী গো, সন্ধান পেলে কিছু ? সাহায্যের আশ্বাস দিল কেউ ?” স্ত্রীর হাতে সারা দিনের উপার্জন ১৮০ টাকা গুঁজে দিয়ে মাথা নাড়েন মতিলাল। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, “আর বোধয় বাঁচাতে পারবো না !” টাকাটা আঁচলখুঁটে বাঁধতে বাঁধতে ঠোঁট কামড়ে কান্না থামান আলপনা।
মতিলাল বলেন, “ভেলোরের চিকিৎসক বলেছেন, ছেলেকে বাঁচাতে হলে আমার শরীর থেকে বোন ম্যারো নিয়ে ওর শরীরে দিতে হবে। তার খরচ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। চেন্নাইয়ের অন্য একটি হাসপাতাল বলেছে ২০ লক্ষ টাকায় তারা ওই চিকিৎসা করে দেবে। কিন্তু এত বিশাল অঙ্কের টাকা আমি পাবো কোথায় ! সম্বল বলতে বাড়ি ভিটেটুকু। কিন্তু সেটা বিক্রি করেও তো অত টাকা জুটবে না। তাই হাতজোড় করে সবার কাছে প্রার্থনা করছি, আমার ছেলেটাকে বাঁচান। একটাই ছেলে আমার !”
নাম — MATILAL BARMAN
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর — 50200000964409
বন্ধন ব্যাঙ্ক, কমলাই ব্রাঞ্চ (ব্যাঙ্ক কোড — 1075)
আইএফএসসি কোড — BDBL0001075
ফোন নম্বর — 9641843990