রায়গঞ্জ

কোভিড আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে অথৈজলে রায়গঞ্জের ঝুমা ঘোষ

সপ্তাহ দুয়েক আগেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ঝুমা দেবীর স্বামীর। এরপর শ্বশুর ও শাশুড়িও করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছে। 

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ কোভিড আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে অথৈজলে রায়গঞ্জের ঝুমা ঘোষ। সন্তানকে সাথে নিয়ে চরম সমস্যার মুখোমুখি রায়গঞ্জের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহারাজা কলোনীর বাসিন্দা ঝুমা দেবী। পাশে থাকার বার্তা স্থানীয় কাউন্সিলরের৷ শোকের ছায়া এলাকাবাসীর মধ্যে। সকলকে করোনা বিধি মেনে চলার বার্তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

জানা গেছে, সপ্তাহ দুয়েক আগেই রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের ২৭নং ওয়ার্ডের মহারাজা কলোনীর বাসিন্দা ঝুমা দেবীর স্বামী ভোলা ঘোষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই ঝুমাদেবীর শ্বশুর রায়গঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের প্রবীণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী বিমল ঘোষের মৃত্যু হয় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে। এদিকে গত দুদিন আগে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিমল বাবুর স্ত্রী অর্থাৎ ঝুমা দেবীর শাশুড়ির। পরিবারের উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন এই তিনজনই।

ঝুমা দেবীর স্বামী ভোলা ঘোষ ব্যবসা করতেন। এদিকে বিমল বাবু ও তাঁর স্ত্রীর অবসরকালীন পেনশনের টাকাই ছিল পাঁচ জনের সংসারের প্রধান উপার্জনের পথ। কিন্তু প্রায় ১২ দিনের ব্যবধানে পরপর পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে কার্যত অথৈজলে ঝুমাদেবী। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চরম আর্থিক অনটন ও সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে সচেতনতার বার্তা দিতে ভোলেননি তিনি। ঝুমা দেবীর কথায়, “এখনও দেখছি অনেকেই সচেতন নন। কিন্তু সময় থাকতে সকলে সচেতন হয়ে মাস্কের সঠিক ব্যবহার করুক এটাই কাম্য। করোনা আমার পরিবারের তিন সদস্যকে কেড়ে নিয়েছে। এমন দুর্দশা যেন অন্য কারোর সাথে না হয়। পাশাপাশি সংসারের প্রধান তিন উপার্জনকারীর অকাল প্রয়াণে ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ঝুমা দেবী।

রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, রায়গঞ্জ শহরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এই প্রথম।  এখনও অনেকেই সচেতন নন এটা ঠিক, সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কোভিডে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি কী হতে পারে এই পরিবার তার উদাহরণ। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে উঁনাদের পাশে রয়েছি। প্রশাসনের কাছে আমরাও তাঁদের সাহায্যের আর্জি জানিয়েছি।

Related News

Back to top button