রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জে ফুঁসছে কুলিক,ভাঙছে বাঁধ, ঘর ছেড়ে আশ্রয়ের খোঁজে বাঁধে মানুষ

উত্তরবঙ্গ জুড়ে লাগাতার বৃষ্টি। ফুঁসছে কুলিক, নাগর, মহানন্দা। রায়গঞ্জে রাতের অন্ধকারেই ঘর ছেড়ে কুলিক বাঁধে আশ্রয় নিতে ছুটছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা৷

Bengal Live রায়গঞ্জঃ ২০১৭-র সেই বন্যার ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি উত্তর দিনাজপুরবাসীর। তিন বছর পর ফের সেই বন্যার ভ্রুকুটি। একটানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসতে শুরু করেছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিক, নাগর, মহানন্দা সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক নদী। ইতিমধ্যেই কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জেও ধরা পড়েছে এমনই চিত্র৷ গবাদিপশু সহ প্রয়োজনীয় আসবাব নিয়ে ঘর ছেড়ে কুলিকের বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। ঘরছাড়া সেই মানুষগুলোর চোখেমুখে বন্যার আতঙ্ক।

কুলিক নদী লাগোয়া আবদুলঘাটা এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা রবিবার সকাল থেকে বাঁধের উপর অস্থায়ী আস্তানা তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে খবর মিলেছে। বেলা যত গড়িয়েছে, ঘর ছাড়া মানুষের সংখ্যাও তত বেড়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, নদী উপচে কুলিকের জল ঢুকে পড়েছে ঘরে। তাই বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

মাত্র তিন বছর আগে, ২০১৭ সালে কুলিক, সুই ও মহানন্দার জলে প্লাবিত হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও ইটাহার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেবছরও কুলিকের বাঁধের উপর শতাধিক মানুষকে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছিল। ঠিক তিন বছরের মাথায় আবারও একইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আবদুলঘাটা এলাকার বাসিন্দারা। ফের একবার বন্যার আতঙ্কে ভুগছেন এলাকার মানুষ।

সমাজসেবী কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, প্রায় ৩০টি পরিবার এখনও ঘর ছেড়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সবথেকে ভয়ের বিষয়, বাঁধের একাংশ ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। এখনই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতি করার কাজ শুরু না করা হলে আগামীতে সুদর্শনপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যেতে পারে।

Related News

Back to top button