রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জে মেরামত হল স্লুইস গেট, বন্যা পরিস্থিতির দায় নিয়ে মোহিত-সন্দীপ তর্জা

রায়গঞ্জ শহরকে জলমুক্ত করতে স্লুইস গেট মেরামত করল সেচ দপ্তর। কুলিকের বাঁধ পরিদর্শন করলেন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। পরিস্থিতির দায় নিয়ে প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যানের তর্জা।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ শহরকে জলমুক্ত করতে শক্তিনগরে স্লুইস গেট মেরামতি করল সেচ দপ্তর। এদিকে শনিবার কুলিক নদীর বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুরপতি মোহিত সেনগুপ্ত। রায়গঞ্জ পুর এলাকার তিনটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হওয়ার দায় পুরসভার উপর চাপান রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি বর্তমান পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস।

লাগাতার প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে রায়গঞ্জ পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিনগর, আট নম্বর ওয়ার্ডের রমেন্দ্রপল্লী এবং নয় নম্বর ওয়ার্ডের কুমারডাঙ্গির একাংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢোকায় ঘর ছেড়ে বাসিন্দারা রেল লাইন, কুলিক বাঁধে এবং শহরের দুটি স্কুলে আশ্রয় নেন। এদিকে শক্তিনগরের স্লুইস গেটটি বিকল হয়ে থাকায় চরম বিপাকে পড়েছিলেন বাসিন্দারা। শনিবার স্লুইস গেট মেরামেতির কাজে হাত লাগান সেচ দপ্তরের কর্মীরা। স্লুইস গেট সচল হবার পর শক্তিনগর এলাকার জল খুব সামান্য নামতে শুরু করে।

এদিকে এদিন কুলিক নদী বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে যান রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। বিধায়কের অভিযোগ, খরা মরশুমে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে স্লুইস গেট,বাঁধের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল পুরসভার।পুরসভা সেই কাজ না করার কারণেই আজ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলা শাসক এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিককে স্লুইস গেট মেরামতির জন্য লিখিত ভাবে জানান বলেও দাবি করেন মোহিত সেনগুপ্ত।

এদিকে বিধায়কের অভিযোগ মানতে চাননি রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এই জল জমেছে। আমরা লাগাতার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে চলেছে পুরসভার কাউন্সিলররা। উনি ছুটির দিন দেখে বাঁধে গিয়ে কী অভিযোগ করলেন তা শুনে কাজ নেই। এই বিপর্যয়ের জন্য কেউ দায়ি নয়৷ অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এমনটা হয়েছে। সেচ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে রায়গঞ্জ পুরসভা সাধারণের জন্য কাজ করে চলেছে বলে মন্তব্য করেন সন্দীপ বিশ্বাস।

Related News

Back to top button