রায়গঞ্জ

বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে রায়গঞ্জের পাঁচ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে অনুপ কুমার রায়ের। বিজেপির তরফেও অভিযোগ তোলা হয়, পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে দলীয় কর্মী অনুপকে। থানায় গিয়ে মৃতের মা এফআইআর দায়ের করার পর খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ বিজেপি কর্মী অনুপ কুমার রায়ের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার পাঁচ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানালেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিং। মৃত অনুপের মা গীতা রায়ের দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতেই ওই মামলা শুরু করেছে পুলিশ।

বুধবার রায়গঞ্জ থানায় ইটাহারের নন্দনগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অনুপ কুমার রায়ের মৃত্যু হয়। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির ঘটনার তদন্তে অনুপের নাম উঠে আসে৷ জিজ্ঞাসবাদের জন্য থানায় আনা হলে আচমকা অচৈতন্য হয়ে যায় অনুপ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় অনুপকে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পরেই ক্রমশ উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি ও মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অনুপকে পুলিশ লক আপে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। এরপর থেকেই মৃতদেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের দাবি তোলা হয় অনুপ কুমার রায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে। একই দাবি তোলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকেও। পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানার ৫ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম উল্লেখ করে অভিযোগও জানান মৃতের মা গীতা রায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিং বলেন, একটা ডাকাতির ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল অনুপ কুমার রায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছিল। থানায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর তার মা ইটাহার থানায় গিয়ে রায়গঞ্জ থানার পাঁচ জন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৬৩ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Related News

Back to top button