রায়গঞ্জ

স্বাস্থ্যসাথীঃ মাকে ভর্তি নেয়নি নার্সিংহোম, ফেসবুকে ছেলের ক্ষোভের ভিডিও ভাইরাল

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে কাজ হয়নি। অভিযোগ, চিকিৎসা তো দূরের কথা, নার্সিংহোম ভর্তিই নেয়নি রোগীকে। রায়গঞ্জের এক ব্যক্তি তাঁর এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

Internet : তথ্যের জালে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব, কীভাবে বাঁচাবেন ?

Bengal Live রায়গঞ্জঃ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার পরেও নার্সিংহোমে ভর্তি নেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে বাড়িতেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বৃদ্ধা। যকৃত ও শ্বাসকষ্টের রোগীর চিকিৎসা করাতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরালেন বৃদ্ধার ছেলে হাবিবুর রহমান। রায়গঞ্জের ৯ নম্বর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হবিবুর রহমানের সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। তবে হবিবুর রহমানের সেই অভিযোগকে মানতে চায়নি ওই বেসরকারি নার্সিংহোম। কর্তৃপক্ষের দাবি, ভুল বুঝেছেন তিনি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হবিবুর রহমান বলছেন, সরকার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কর্মসূচিগুলোকে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই সুবিধা মানুষ পাচ্ছে না। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম থাকার পরেও নার্সিংহোম থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই কার্ডের কোনও মূল্য নেই। তাহলে কি বিনা চিকিৎসায় আমার মা মারা যাবে?

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, মৃত এক, চাঞ্চল্য ইটাহারে

এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যম অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি হবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার মা প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট ও যকৃতের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি নার্সিংহোমে ভর্তি করার কথা বলেন। সেই মতো রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে মাকে ভর্তি করতে গেলে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ বলা হয়, এখানে ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করা হয়। এইসব রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয় না। এরপর আবার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নার্সিংহোমের সাথেই কথা বলতে বলেন। পুনরায় নার্সিংহোমে গেলে সেখান থেকে আবারও একই কথা বলা হয়। হবিবুর বাবুর অভিযোগ, টাকার অভাবে মা’য়ের চিকিৎসা করাতে না পেরে নিরাশ হয়ে বাড়িতেই রাখতে হয়েছে তাঁকে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আমি নিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও কাজে লাগলো না। আমার ভেতরের ক্ষোভ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলে ফেলেছি।

তৃতীয় দিনেও আন্দোলনে অনড় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকরা

হবিবুর রহমানের এই অভিযোগকে মানতে চায়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমের ম্যানেজার গৌতম ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে এক রোগীর পরিজন এসেছিল। তাঁর অনেকদিনের পুরানো রোগ ছিল। আমরা বলি, চিকিৎসক দেখিয়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করার পর তারপর আমরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবহার করতে পারবো। স্বাস্থ্য ভবনেও সেই কপি পাঠাতে হবে। উনি আমাদের কথা বুঝতে পারেননি। ভুল বুঝে অভিযোগ করেছেন।

https://www.facebook.com/100002595644886/videos/3691702437592908/

 

Related News

Back to top button