রায়গঞ্জ

কুলিক পাড়ের তর্পণ বয়ে আনল দেবীপক্ষের আগমনী বার্তা

কুলিক পাড়ের তর্পণ বয়ে আনল দেবীপক্ষের আগমনী বার্তা

Bengal Live রায়গঞ্জঃ বছরভর প্রতীক্ষার শেষে শনিবার পিতৃপক্ষের অবসান। শুভারম্ভ হল দেবীপক্ষের। মহালয়ার পুণ্য তিথিতে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হল আপামর বাঙালীর। পুরাণ মতে এদিন দেবী দুর্গা পতিগৃহ থেকে রওনা দেন পিতৃগৃহে। মর্ত্যলোকে মায়ের আগমণ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সমাজের অসুররূপী অশুভ শক্তির বিনাশে দেবীর আগমন ঘিরে সাজ সাজ রব সর্বত্র। চন্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা।

এদিন প্রভাতে ঐতিহ্য ও প্রথা মেনে রেডিওতে মহালয়া শোনার আয়োজন করেছিলেন উত্তর দিনাজপুর প্রবীণ নাগরিক কল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা। মহালয়া শোনার পর কুলিক নদীর বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ মেলায় অংশ নেন তাঁরা। তর্পণ শেষে পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দেন শহরের প্রবীণরা। আয়োজনে কোনও ত্রুটি না থাকলেও শেষ মুহূর্তে রেডিও বিকল হয়ে পড়ায় কিছুটা হতাশ হয়েই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বাধ্য হন প্রবীণ নাগরিক কল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা।

মঞ্চের সদস্যরা জানান, একটা সময় ছিল, যখন ঘড়িতে চারটে বাজার আগে আশপাশের সকল বাড়ি থেকে একইসাথে রেডিওর কোঁ শব্দ ভেসে আসতো। এরপর দমবন্ধ করা উৎকণ্ঠার মাঝে শুরু হতো মন্ত্রমুগ্ধ করা চণ্ডীপাঠ। মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে চন্ডীপাঠ না শুনলে আজও দেবীর আগমন অনুভব করা যায় না। সেই প্রথা মেনেই এদিন সকালে একাধিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটিকে আনন্দের সাথে কাটিয়েছেন তাঁরা।

প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি এদিন কুলিক পাড়ে শহরের অন্যান্য বাসিন্দাদেরও পিতৃপুরুষদের উদ্দ্যেশ্যে তর্পণ করতে দেখা গিয়েছে।

Related News

Back to top button