রায়গঞ্জ

হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টার, রায়গঞ্জে আনন্দ উচ্ছ্বাস মিষ্টিমুখ

হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মাতলো রায়গঞ্জের মানুষ। শহর থেকে গ্রাম — সর্বত্রই চলল মিষ্টিমুখের পালা

Bengal Live রায়গঞ্জঃ হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলো রায়গঞ্জ৷ শহরের ঘড়ি মোড় এলাকায় মিষ্টি মুখ করানো হলো সকলকে। কলেজ পড়ুয়া থেকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথ চলতি মানুষকে মিষ্টিমুখ করালো শহরের যুবক-যুবতীরা। একই চিত্র এদিন ধরা পড়ে রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া রামপুর গ্রামে। সেখানে স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মিষ্টিমুখ করায় গ্রামবাসীরা। শুক্রবার এনকাউন্টারের খবর সংবাদ মাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই উৎসবের চেহারা নেয় রায়গঞ্জ। ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে এদিন রামপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মিষ্টিমুখ করায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত ২৭ নভেম্বর পেশায় পশু চিকিৎসক এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এরপর মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তরুণী চিকিৎসকের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার হতেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। দোষীদের শাস্তির দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। ঘটনার তদন্তে নেমে তেলেঙ্গানা পুলিশ চার জনকে গ্রেপ্তার করে।

গতরাতে ওই চার অভিযুক্তের মৃত্যু হয় পুলিশের এনকাউন্টারে। এই খবর জানাজানি হতেই দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। পুলিশের কাজে প্রশংসা করে মতামত প্রকাশ করেন আট থেকে আশি। পাশাপাশি এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

সেই উচ্ছ্বাসই শুক্রবার আছড়ে পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে। রামপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিষ্টিমুখ করান সকলকে। স্থানীয় স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকদেরও মিষ্টিমুখ করানো হয়। এই বিষয়ে রামপুর হাইস্কুলের শিক্ষক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, পুলিশের সাফল্যে আমরা গর্বিত। এই অপরাধের এমন সাজাই প্রয়োজন। এই কারণেই সকলকে মিষ্টি মুখ করানোর আয়োজন করা হয়েছে।

পুলিশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পিয়ালী দত্ত বলেন, আজ নৃশংস এই ঘটনায় যুক্ত দোষীরা শাস্তি পেয়েছে। পুলিশের এই এনকাউন্টারে আমরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। আমরা এই আনন্দ শহরবাসীর সাথে ভাগ করে নিতেই মিষ্টিমুখ করালাম সকলকে।

Back to top button