শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হলেন স্বামী। এদিন বিকেলে ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোয়ালপোখর থানার বোয়ামাড়ি গ্রামে।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ পারিবারিক বিবাদের জেরে দুই বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন স্ত্রী। বুধবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হলেন স্বামী। এদিন বিকেলে ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোয়ালপোখর থানার বোয়ামাড়ি গ্রামে। গুরুতর জখম অবস্থায় পিটুশ মন্ডল নামে ওই ব্যক্তি ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে লাথি, কিল,চড় এমনকি লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধরক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপার সচিন মাক্কার বলেন, পিটুশ মন্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনার পর পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। অভিযোগ পেলে এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে করণদিঘি থানার শোলপাড়ার বাসিন্দা পিটুশ মন্ডলের বিয়ে হয় গোয়ালপোখর থানার বোয়ামাড়ি গ্রামের আদরী বিশ্বাসের সাথে। তাঁদের একটি দুই বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। কর্মসূত্রে পিটুশ শিলিগুড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। অভিযোগ, কিছুদিন আগে স্ত্রী পুত্রকে শিলিগুড়ির ভাড়া বাড়িতে রেখে পিটুশ কলকাতা চলে যান। এরপর থেকে স্ত্রী-য়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক বিবাদ অশান্তি শুরু হয়। বুধবার সেই স্ত্রী পুত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গোয়ালমাড়ি এলে ঘটনাচক্রে গণপিটুনির শিকার হন পিটুশ মন্ডল।
ঘটনার পর আহত পিটুশ মন্ডল বলেন, “আজকে আমি স্ত্রী পুত্রকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে যাই। কিন্তু আমাকে দেখা মাত্র আমার শ্বশুর নিখিল বিশ্বাস হাতে হাসুয়া নিয়ে আমাকে কাটতে আসে। আত্মরক্ষার্থে আমি তাঁর হাত থেকে হাসুয়াটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। সেই সময় ধ্বস্তাধস্তির মধ্যেই হাসুয়ার আঘাত লেগে হাত একটু কেটে যায়। এরপরেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন গ্রামের কিছু মানুষ লাঠি বাঁশ নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় ও গণপিটুনি দেয়।”
যদিও পিটুশের শ্বশুর নিখিল বিশ্বাস জামাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বলেন, “আজকে আমার জামাই বাড়ি থেকে দা নিয়ে আচমকা আমার উপর হামলা চালায়। দায়ের কোপে আমার হাত কেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আমায় সবাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর কি হয়েছে তা আমি বলতে পারবো না। “