ভোটের ডিউটির ভয়েই আত্মঘাতী রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী!
আসছে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটের ডিউটির কথা ভেবেই টেনশন ও অবসাদে ভুগছিলেন সুধীরবাবু। সেই ভয় ও অবসাদ থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন সুধীরবাবুর ছেলে।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ শুক্রবার রাতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষাকর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ সেরিকালচার বিভাগের ল্যাবরেটরি থেকে সুধীর সরকার নামে ওই শিক্ষাকর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন সুধীরবাবু।
কিন্তু তিনি এমন একটি পথ বেছে নিলেন কেন ? পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে। পোস্টমর্টেম ও পুলিশের তদন্ত শেষেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষাকর্মীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উঠে আসবে। তবে সুধীরবাবুর ছেলে শুভঙ্কর সরকার বলেন, “গতকাল ভোটের ডিউটির কাগজ আসার পর থেকেই বাবা খুব ডিপ্রেশনে ছিল। এখন যা পরিস্থিতি, তা দেখে ভোটের ডিউটিতে যেতে খুব ভয় পেত বাবা। আমি বলেছিলাম, ভোটের ডিউটি এসছে তো কী হয়েছে ? নাম কাটানো যাবে। কিন্তু বাবা বোধয় সেই মানসিক চাপটা নিতে পারলো না !”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুধীরবাবুর বাড়ি রায়গঞ্জের উকিল পাড়া এলাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা সুধীর বাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। জানা গেছে, সেরিকালচার বিভাগের পরীক্ষাগারের সিলিংয়ে পাখার হুকে দড়ি লাগিয়ে ঝুলে ছিলেন সুধীর সরকার। শিক্ষাকর্মীর আত্মঘাতী হওয়ার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলেজপাড়া এলাকায়।