রাজকুমার রায় মৃত্যু মামলার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ শিক্ষকরা
মৃত্যুর দুই বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। রায়গঞ্জে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে এফআইআর
Bengal Live রায়গঞ্জঃ রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর দুই বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও মেলেনি ক্ষতিপূরণের টাকা। সোমবার এমনই অভিযোগ তুলে কর্ণজোড়া জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন রাজকুমার রায়ের হত্যার বিচার চাই মঞ্চের সদস্যরা৷ পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা ভোটে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও এদিন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষকরা৷ বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয় এদিন।
ইলিশের অনেক পদই তো রেঁধেছেন, ঢাকাই ভুনা ইলিশ খেয়েছেন ? শিখে নিন রান্না
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রহতপুর হাইমাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায় ইটাহার ব্লকের একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচন চলাকালীন ভোট কেন্দ্র থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরে রায়গঞ্জের বামুনগ্রামে রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে রাজকুমার রায়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পরেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। ভোট কর্মী রাজকুমার রায়কে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে।
বিছানা থেকে নামতেই চোখে অন্ধকার, মাথায় চক্কর, কী করবেন ?
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজকুমার রায়ের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হলেও এখনও ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম শিক্ষক শাহীদুর রহমান। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনে আরটিআই করে আমরা জানতে পেরেছি রাজকুমার রায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত নথি এখনও জেলা প্রশাসন নির্বাচন দপ্তরে পাঠায়নি। শাহীদুর রহমানের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন কোনও নথি না পাওয়ার কথা জানালেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নথি পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন বারংবার বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই এদিন আমরা জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।