রায়গঞ্জ

“নো ব্রিজ, নো ভোট” স্লোগান তুলে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের

ভোট বয়কটের ডাক হেমতাবাদ বিধানসভার কয়েক হাজার বাসিন্দার৷ নির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন গ্রামবাসীরা।

শেষ লগ্নের প্রচারে উত্তর দিনাজপুরে রাজনাথ, অমিত শাহ

Bengal Live রায়গঞ্জঃ নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে ” বাঁধছি জোট, দেবনা ভোট, নো ব্রীজ নো ভোট” আওয়াজ তুলে বিক্ষোভে নামলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের বুকে লেখা স্লোগান ” আমিও ভোট দিচ্ছিনা, আমার পরিবারও ভোট দেবেনা “। গ্রামপঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা ও লোকসভা একের পর এক ভোট পার হলেও গ্রামের সেতু নির্মান না হওয়ায় আগামী ২২ এপ্রিল হেমতাবাদ বিধানসভার ভোট বয়কটে অনড় গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

একটা সেতু তৈরি হলেই ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তা কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র আট কিলোমিটারে। উপকৃত হবেন ৩০০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে, ভোট যায় নদীর উপর সেতু তৈরি নিয়ে শুধুই হয় রাজনীতি। দুর্ভোগ ঠিক একই জায়গায় থেকে যায়। প্রত্যেকবার ভোটের ক’দিন আগে সরকারিভাবে মাটি পরীক্ষা সহ সেতু নির্মানের নানান তদারকি দেখা যায় প্রশাসনের। কিন্তু ভোটপর্ব মিটে যেতেই আবার যেমনটা তেমনই অবস্থায় থমকে পরে। তাই এবার সেতু না  হওয়ায়  রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন রায়গঞ্জের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ স্পেশাল রেসিপিঃ ট্যাংরা টম্যাটো কারি

আগামী ২২ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। এই বিধানসভার অন্তর্গত শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী। এই কুলিক নদীর দুইপাড়ে বসবাস করেন শেরপুর, গোবিন্দপুর, লাইনপাড়া, ডাঙ্গিপাড়া, বরমপুর, খোকসা, গামাডাঙ্গি, বিন্দোল, খলসি, মেহেন্দিগ্রাম সহ প্রায় তিনশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক মানুষ কুলিক নদী পারাপার করেন।

গ্রামের বাসিন্দা কমলেশ্বর বর্মণ বলেন, বিডিও অফিস, রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন কাজে শহরে আসতে গেলে এই নদী পার হয়েই আসা যাওয়া করতে হয় বাসিন্দাদের৷ বর্ষায় দুকূল ছেপে যাওয়া নদী পার হতে একমাত্র ভরসা নৌকা আর শুকনোর দিনে বাঁশের সাঁকো। তাঁর অভিযোগ, মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে যেতে সেতু না থাকায় ঘুরপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। ফলে অনেক সময়ই হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যুও হয়ে যায়। তাই এবার গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেতু না হলে ভোট দেব না।

বাংলাদেশ স্পেশালঃ আনারস ইলিশ

গ্রামের অপর এক বাসিন্দা দীপক রায়ের দাবি, সব রাজনৈতিক দলই এই খলসিঘাট সেতু নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। প্রতিবার পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোট আসে। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় ভোট পার হলেই আর সেতুর কথা কারও মনে থাকেনা। বছরের পর বছর চরম বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছি আমরা। এবার তাই আর চুপ করে বসে থাকব না। ভোট বয়কট করা হবে। শুধু তাই নয়, কেউ ভোট দিতে গেলে তাঁকেও ভোট না দেওয়ার জন্য বোঝানো হবে।

Related News

Back to top button