রায়গঞ্জ

দেওর বৌদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হেমতাবাদে

বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দুটিকে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷

 

Bengal Live হেমতাবাদঃ দেওর বৌদির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য হেমতাবাদে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার শীতলপুর গ্রামে। মৃতদের নাম মুনমুন দাস মাইতি ও বিশ্বজিৎ দাস। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদ থানার শীতলপুরের বাসিন্দা বাপ্পা দাস ও তার ভাই বিশ্বজিৎ দাস ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। লকডাউনের কারনে ভাই বিশ্বজিৎ দাস বাড়িতে ফিরে আসলেও বাপ্পা ভিন রাজ্যেই থেকে যায়। বাপ্পা দাসের এক ছেলে এক মেয়ে। অভিযোগ, বাপ্পার ভাই বিশ্বজিতের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার স্ত্রী মুনমুন দাস মাইতি। গতকাল রাত দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে দেড় কিলো মিটার দূরে একটি আম গাছে বিশ্বজিৎ এবং মুনমুনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। গ্রামে এই খবর ছড়িয়ে পড়েতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দেওর বৌদির অবৈধ সম্পর্কের কথা পরিবারের লোক জানতে পারায় লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা দুজন আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।

Related News

Back to top button