শুভেন্দুর হাত ধরে পালাবদল হবে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে? কী বললেন পূর্ণেন্দু দে?
শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। এবার কি ফের শুভেন্দুর হাত ধরেই রঙ বদলাবে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ ? কী বলছেন দলনেতা ?
Bengal Live রায়গঞ্জঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টালমাটাল রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত ভাঙন ধরতে শুরু করেছে তৃণমূলে। একাধিক নেতা, বিধায়ক ইতিমধ্যেই দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। অন্যতম উদাহরণ ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, আসানসোলের বিধায়ক জীতেন্দ্র তিওয়ারি। এমন পরিস্থিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নীচুতলার নেতা কর্মীদের মধ্যেও ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। কবে কোন নেতা দলবদল করবেন, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সাধারণ কর্মীরা। উদ্বিগ্ন রয়েছেন নেতারাও। এমনই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে জোড় গুঞ্জন চলছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদকে নিয়ে।
দলত্যাগীদের বিভীষণ মনে করবে বিজেপি– শান্তা ছেত্রী
২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ দখল করলেও, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তা তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন তৃণমূল নেতা তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর বড় হাত ছিল। তাঁর হাত ধরেই বাম-কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জেতা একাধিক জেলা পরিষদের সদস্য দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল একক ক্ষমতায় ফের উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ দখল করলেও শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই ক্রমশ জটিল হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্ক। রাজনৈতিক মহলে জোড় গুঞ্জন, শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়ার প্রভাব পড়তে পারে উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসেও। জেলা পরিষদেও ঘটতে পারে রঙ বদল।
এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের বন ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ তথা পরিষদীয় দলনেতা পূর্ণেন্দু দে বলেন, “জেলা পরিষদে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি৷ আমাদের জেলার পর্যবেক্ষক থাকার কারণে আমাদের সকলের সাথেই শুভেন্দুবাবুর সুসম্পর্ক ছিল। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। উদ্বিগ্ন সবাই৷ তবে আমরা বলছি, দল করছো, দলই করো, শুভেন্দু বাবু কী করছেন না করছেন, তা আমরা পরবর্তীতে ভাববো। এখন তৃণমূলেই আছি। তৃণমূলেই থাকবো।”
মালদায় একদল সংখ্যালঘু জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্মফুলে, তৃণমূল বলছে, বিজেপির ভাঁওতাবাজি
তবে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের রঙবদলের বিষয়টি রটনা বলে দাবি করেন পূর্ণেন্দু দে। তিনি বলেন, “ঘটনা হলে, আমার সাথেই সকলে আলোচনা করবে। আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে সেরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন নেই।”
শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন নেতাদের কাছে মতামত জানতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি কারও কাছেই স্পষ্ট কোনও উত্তর পাননি। কারণ তাঁকে আমরা সরাসরি না করতে পারব না, আবার যেহেতু তৃণমূল দলটা করি তাই এই দল ছেড়ে যেতেও পারব না।