রাজ্য

অজানা জ্বরে মালদায় আরও দুই শিশুর মৃত্যু

এদিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দিনই স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি বিশেষ দল উত্তরবঙ্গে এসেছেন।

 

Bengal Live মালদাঃ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই শিশুর মৃত্যু। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে মালদায় মোট ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে শুক্রবার দিনই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যদপ্তরের এক বিশেষজ্ঞ দল এসে পৌঁছেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তারা। ইতিমধ্যে এ ধরণের জ্বরে কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে শিশুদের, তা নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যদপ্তর।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মালদা মেডিক্যাল কলেজে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সেও জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, নয় মাসের ওই শিশুটি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। নাম আসমা খাতুন। অসুস্থতা বাড়তে থাকায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে তাকে আনা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এদিকে শুক্রবার সকালেও আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। ভূতনির বাসিন্দা ৬ মাসের ওই শিশুটির নাম দেব মণ্ডল।
মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখার্জি জানিয়েছেন, হাসপাতালে জ্বর আক্রান্ত হয়ে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। চিকিৎসাধীন শিশুদের লালা রস পরিক্ষা করা হচ্ছে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সকলের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে শিশুদের জ্বর সহ অন্যান্য সংক্রমণের ঘটনা খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে এল স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি দল।শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সোজা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাঃ সুশান্ত রায়,মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা,মেডিক্যাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক সহ অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের মেডিক্যালের পেডিয়াট্রিক বিভাগ ঘুরে দেখেন।এখান থেকে তাঁরা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে যাবেন।সেখানেও এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।এর পরে দলটি জলপাইগুড়ি জেলা পরিদর্শনে যাবে।এসএসকেএম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ রাজা রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল গড়েছে রাজ্য সরকার।এই প্রতিনিধি দলই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছে।

Related News

Back to top button