রাজ্য

এরই নাম প্রেম ? টানা দুইদিন ধর্নার পর প্রেমিকের গলায় মালা দিল প্রেমিকা

প্রায় ৪৮ ঘন্টার ধর্ণা শেষে চার হাত এক হল। শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সামাজিক মতে সম্পন্ন হলো অঞ্জনা ও সমীরের বিয়ে। এ দেশে ধর্নায় বসে চাকরি না পাওয়া গেলেও প্রেমিক পাওয়া যায়…

Bengal Live জলপাইগুড়িঃ ৪৮ ঘন্টার ধর্না শেষে বিয়ের পিড়িতে অঞ্জনা ও সমীর। করোনার আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে সামিল শতাধিক মানুষ। বিয়েকে কেন্দ্র করে উৎসাহ, উদ্দীপনা এতটাই ছিল যে, মানুষ ভুলে গিয়েছিল সামাজিক দূরত্ববিধি, এমনকি মুখে মাস্ক পড়ার কথা। অবশেষে সামাজিক নিয়ম মেনে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে কপালে সিঁদুর পড়িয়ে অঞ্জনাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করল সমীর।

গত শুক্রবার সকাল থেকে ধুপগুড়ি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপাড়ার বাসিন্দা প্রেমিক সমীর সাহার বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসে মধ্য খট্টিমারীর বাসিন্দা যুবতী অঞ্জনা রায়।

অ্যাডভেঞ্চার ও পর্বতারোহণের সহজ পাঠ,লিখেছেন বিশাল বিশ্বাস

যুবতীর অভিযোগ, গত তিনবছর ধরে সমীর সাহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসও করেন সমীর। মাঝে একবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গোপনে গর্ভপাতও করান সমীর। এরপর থেকেই ক্রমশ দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে প্রেমিক। সন্দেহ হওয়ার পরেই বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন অঞ্জনা।

আর তা নিয়ে শুক্রবার থেকে চলে দীর্ঘ নাটক। কখনও উত্তেজনা, আবার কখনও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বৈঠক। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও শুক্রবার সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপর শনিবার মেয়ের গ্রাম থেকে শতাধিক মানুষ প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসে জমায়েত করে। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। এরপর সকাল থেকে কখনও পুলিশি হস্তক্ষেপে, কখনও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দফায় দফায় চলে বৈঠক। অবশেষে বিয়ের পিড়িতে বসতে রাজি হয় ছেলের পরিবার। অঞ্জনা এবং সমীরের বিয়ের সাক্ষী থাকলো ধুপগুড়ির হাজার হাজার মানুষ।

আলোর বেণু বাজতো যখন…

Related News

Back to top button