রাজ্য

তৃণমূলের NRC ও CAB বিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র উত্তর দিনাজপুর

তৃণমূলের NRC ও CAB বিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকি। একাধিক সরকারি ও বেসরকারি বাসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ তৃণমূলের NRC ও CAB বিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকি। একাধিক সরকারি ও বেসরকারি বাসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রেহাই পায়নি এম্বুলেন্সও। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠায় চাকুলিয়া থানার কানকি ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে একাধিক NRC ও CAB বিরোধী মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জের পাশাপাশি কানকি এলাকাতেও মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী।

অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার একটি বাস সহ একাধিক বেসরকারি বাসে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। অভিযোগ, এরপরেই পালটা পুলিশের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ইট, পাথর ছোঁড়া হয় পুলিশকে লক্ষ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করে কানকিতে।

এই ঘটনার পর মন্ত্রী গোলাম রব্বানী জানান, তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিজেপি, আরএসএস ও বামেদের দুষ্কৃতীরা ঢুকে উত্তেজনা তৈরি করে। পুলিশের উপর হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। জেলায় এদিন তিনটি মিছিল হয়েছে। সবকটি মিছিলই শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই বিজেপি, আরএসএস ও বামেরা এই চক্রান্ত করেছে।

এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, শান্তি মিছিলের নামে তৃণমূল অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই হামলা হয়েছে। মন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ লাহিড়ী।

ইসলামপুর পুলিশ জেলা সুপার সচীন মক্কার বলেন, একটি মিছিল যাওয়ার সময় কিছু মানুষ গাড়ি ভাঙচুর, বাসে আগুন ও পুলিশের উপর পাথর ছুড়ে গোলমাল পাকিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠি চার্জ করে ও টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিত এখন স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related News

Back to top button