এবার পুজোয় কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার
দুর্গা পূজার বাকি মাত্র আর কয়েকটা দিন। করোনা আবহের মাঝে চলছে জোড় কদমে পূজার আয়োজন৷ তবে আর্থিক সমস্যার মধ্যে রাজ্যের সব পুজো উদ্যোক্তারা। তাই ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার৷ এবার প্রকাশ করা হল পূজার গাইড লাইনও।
ইলিশের অনেক পদই তো রেঁধেছেন, ঢাকাই ভুনা ইলিশ খেয়েছেন ? শিখে নিন রান্না
Bengal Live ডেস্কঃ হাতে গোনা আর মাত্র কটা দিন। তারপরেই পুজোর বাজনা বাজবে। কিন্তু অনান্য বারের থেকে এবারের পুজোটা একদমই আলাদা হতে চলেছে। এবার কোনও প্যান্ডেলেই এত ভিড় দেখতে পাওয়া যাবে না কিংবা বড়ো মাপের প্যান্ডেল, সেসবও হয়তো একটা গণ্ডীর বাইরে যেতে পারবে না। সমস্ত কিছুই হবে কিছু নিয়ম মেনে।
সরকারের দেওয়া গাইডলাইন মেনেই এবার পুজোর আয়োজন করতে হবে সমস্ত ক্লাবগুলিকে। গাইডলাইনে মোট ১১ টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দেওয়া বক্তৃতার ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয়েছে এই গাইডলাইন।
চলুন তবে একনজরে দেখে দেওয়া যাক কী বলা হয়েছে এই গাইড লাইনেঃ
• সমস্ত দর্শককে ঠাকুর দেখতে আসতে হবে মাস্ক পরে। মাস্ক না থাকলে তাঁর মাস্কের ব্যবস্থা করতে হবে পুজো কমিটিকে। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। কিছু সময় অন্তর প্যান্ডেল স্যানিটাইজ করতে হবে।
• মন্ডপে যেন বেশি ভিড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। এবং তাদের সকলের মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। এবং অঞ্জলি দেওয়া থেকে সিঁদুর খেলা সমস্তই পালন করতে হবে দূরত্ব বজায় রেখে।
• পুজোর ব্যবস্থা করতে হবে খোলা মাঠে। ঠিক পরিমান বাতাস যাতে চলাচল করতে পারে। মঞ্চ ঘেরা হলেও ছাদ খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। মন্ডপে প্রবেশ এবং বাহির পথ আলাদা রাখতে হবে।
আদা-রসুন-হলুদঃ করোনা কেন, হরেক রোগেরই যম, শুধু ব্যবহার জানতে হয়
•পুজো মন্ডপের আশেপাশে বা ধারেরকাছে কোনো রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
•পুজোর পুরস্কার দেওয়া বিচারকদের পুরস্কার বিতরণ সারতে হবে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টার মধ্যে।
•করোনা বিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রত্যেক পূজা কমিটিকে প্রচার চালাতে হবে ব্যাপক ভাবে।
•পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জন যতটা ছোটো করে করা যায় সেদিকে দেখতে হবে।
তুড়ি মেরে ওজন কমান ঘরোয়া টোটকায়, হেঁশেলেই মজুত মন্ত্র
•পুজোর অনুদানের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
•ভিড় এড়াতে এবার তৃতীয়া থেকেই যাতে সমস্ত দর্শক ঠাকুর দেখতে পারেন সেদিকে নজর দিতে হবে।
•এবার কোনো কার্নিভাল হবে না।
•দমকল সহ পুরসভার কর কিছুই দিতে হবে না পুজো কমিটিকে। অনুদান হিসেবে প্রত্যেক কমিটি পাবে ৫০ হাজার টাকা।