রাজ্য

জটেশ্বরে শিবের মেলায় বাঁশিওয়ালা নঈম, মানুষের ভিড়ে জীবনের খোঁজ

৩৫ বছর ধরে ‘হাটে-মাঠে-বাটে’ বাঁশি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ। করোনা কেড়েছিল কাজ। সমাজের মূল স্রোতে আবারও ফিরে আসার চেষ্টায় বংশী বিক্রেতা।

 

Bengal Live জলপাইগুড়িঃ বাঁশি বিক্রির পেশাকে জীবনে বেঁচে থাকার হাতিয়ার করেই সংসারের হাল ধরেছেন গয়েরকাটার বাসিন্দা মোঃ নঈম। ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে শিবরাত্রীর মেলায় বাঁশি বিক্রেতার এক অনন্য কাহিনী ধরা পড়ল সাংবাদিকের ক্যামেরায়।

বাঁশির ব্যবহার বহু প্রাচীন হলেও হাল আমলের যুগে লোকগীতিতে বাঁশির ব্যবহার বহুমাত্রিক, চিরচেনা।
জলপাইগুড়ির গয়েরকাটার সমাজ পাড়ার বাসিন্দা পেশায় বাঁশিওয়ালা মোঃ নঈম কাঁধে ঝোলা আর বাঁশিতে সুরের মূর্চ্ছনা তুলে অবিচলভাবে ৩৫ বছর ধরে বাঁশি বিক্রি করে চলেছেন। বাঁশি বিক্রিই তাঁর উপার্জনের একমাত্র পেশা। অক্লান্ত ভাবলেশহীন ভাবে পথিকের বেশে বিভিন্ন জেলার মেলায় মেলায় বাঁশি বিক্রি করে সংসার চালান এই বাঁশি বিক্রেতা। কিন্তু বিগত কয়েক মাসে অতিমারীর কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাঁশির বিক্রিবাটা। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও মূল পেশায় ফিরে উপার্জন করছেন তিনি।

সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের বাঁশি পাওয়া যায় তাঁর কাছে। বাঁশিগুলি তিনি নিজেই তৈরী করেন। ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে শিবরাত্রির মেলায় বাঁশি বিক্রি করতে এসে বাঁশিওয়ালা মোঃ নঈম জানান, “আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বাঁশি বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু করোনায় ব্যবসা বন্ধ ছিল। তবে এই জটেশ্বরের মেলায় ভালই বাঁশি বিক্রি হয়েছে।

তিনি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং সহ বিভিন্ন জেলার মেলাতে, হাটে-বাজারে, পথে-ঘাটে বাঁশি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন। তাঁর মনোমুগ্ধকর বাঁশির সুর বাতাসে ভেসে মুখরিত করে চারপাশ।

Related News

Back to top button