রাজ্য

শুক্রবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ, নবান্ন অভিযানে বাম ছাত্র-যুবর উপরে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ

শুক্রবার ১২ ঘন্টার বনধ। নবান্ন অভিযানে গিয়ে ছাত্র যুবদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বনধ ডাকল রাজ্য বামফ্রন্ট।

 

Bengal Live ডেস্কঃ সকলের জন্য শিক্ষা সকলের জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার ও শূন্যপদে নিয়োগের দাবি নিয়ে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত শতাধিক ছাত্র-যুব নেতা ও কর্মী। সিপিএম বিধায়ক তথা ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলি সহ ৫ জনকে রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে ভ্যানে তুলল পুলিশ। কার্যত এদিন কলকাতার রাস্তায় ধুন্ধুমার অশান্তি ছড়ায় ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই সহ ৮ টি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে।

রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শূন্য পদে নিয়োগ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই সহ ৮ টি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন। বাম ছাত্র-যুবর এই কর্মসূচিতে আহ্বান করা হয়েছিল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনকেও। বেলা ১ টা নাগাদ পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে নবান্নের সামনে চলে আসেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলি সহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা নবান্নের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে ভ্যানে তুলতেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।

এই ঘটনার পরেই শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধ-এর ডাক দেয় রাজ্য বামফ্রন্ট। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে বনধের ঘোষণা করেন৷ সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অপূর্ব পাল বলেন, প্রাথমিক খবর, নবান্ন অভিযানে গিয়ে উত্তর দিনাজপুর ডিওয়াইএফআই সম্পাদক কার্তিক দাস সহ আরও ছয় জন আহত হয়েছেন৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজই, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথ অবরোধে সামিল হবো।

Related News

Back to top button