রাজ্য

রামকেলি মন্দির ও রাধাকুণ্ড-শ্যামকুন্ডের রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগী মালদা জেলা প্রশাসন

রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি রাধাকুণ্ড এবং শ্যামকুন্ডের সৌন্দর্যায়নের দিকেও নজর দেওয়া হবে। রবিবার সকালে বিডিও সহ প্রতিনিধি দল মন্দির সংলগ্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

 

Bengal Live মালদাঃ রামকেলি মন্দির ও তৎসংলগ্ন রাধাকুণ্ড-শ্যামকুন্ডের রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগী হল মালদা জেলা প্রশাসন। রবিবার সকালে ইংরেজবাজার ব্লকের বিডিও সহ প্রতিনিধি দল মন্দির সংলগ্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেন। প্রশাসনিক তরফে জানানো হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি রাধাকুণ্ড এবং শ্যামকুন্ডের সৌন্দর্যায়নের দিকেও নজর দেওয়া হবে।

ইতিহাস ও ধর্মের অন্যতম মিলনস্থল মালদা শহর থেকে ১৬ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত রামকেলি। এটি প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের এক বিখ্যাত গ্রাম ছিল। অনেকেই একে গুপ্ত বৃন্দাবনও বলে থাকেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দ এবং সাধুসন্তদের নিয়ে জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তিতে প্রতি বছর ৭ দিন ব্যাপী জমজমাট মেলা বসে রামকেলিতে। তবে শুধু মেলার সময়েই নয় সারা বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক গৌড় রামকেলি দর্শনে ছুটে আসেন।

রামকেলি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে সমাদৃত হলেও মন্দির এবং রাধা কুণ্ড – শ্যাম কুণ্ড চত্বরের পরিকাঠামো এখনও সেভাবে উন্নত হয়নি। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামকেলি মন্দির ও তৎসংলগ্ন রাধা কুণ্ড – শ্যাম কুণ্ডের সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে ইংরেজবাজার ব্লকের বিডিও সহ প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে আসেন।

ইংলিশ বাজার ব্লকের বিডিও সৌগত চৌধুরি জানিয়েছেন, মন্দিরের চারপাশ এবং রাধা কুণ্ড – শ্যাম কুণ্ড ঝোপ জঙ্গলে ভরে থাকে সারা বছর। এছাড়া, দর্শনার্থীদের বসার জন্য রামকেলি মন্দির ও তৎসংলগ্ন চত্বরে কোন বসার জায়গা নেই, তাই সেখানে নতুন বসার চেয়ার তৈরি করা হবে। পাশাপাশি মন্দির চত্বরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ও দর্শকেদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ, পাতা বাহারি গাছ সহ বসার জায়গা তৈরি করা হবে। বিডিও আরও জানান, অর্থ বরাদ্দ করে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এলাকার সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করা হবে।

Related News

Back to top button