এবারের ভোটেও সব আসনে প্রার্থী মমতা, রায়গঞ্জে এসে ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর
মুকুল-শুভেন্দু-রাজীব চলে গেছেন দল ছেড়ে। দল ছেড়েছেন আরও অনেকেই। বিজেপি রণহুঙ্কার দিয়ে ঘোষণা করেছে, দু’শোর বেশি আসন নিয়ে বাংলা দখল তারা করবেই। দিকে দিকে মিমের উঁকিঝুঁকি। দলে কোন্দল। ওদিকে আবার বাম-কংগ্রেস জোটবদ্ধ। কঠিন এই সময়ে সব প্রার্থীর উদ্ধারকর্তা সেই মমতাই।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ “প্রার্থী কারা হল দেখার দরকার নেই, মনে রাখবেন এটা আমার ভোট”। রায়গঞ্জে জনসভায় এসে ফের একবার নিজেকেই ২৯৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে এদিন দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুঁইফোড় বলে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার রায়গঞ্জে জনসভা করতে আসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১টা নাগাদ হেলিকপ্টারে রায়গঞ্জ পৌঁছান নেত্রী। স্টেডিয়ামে দুই দিনাজপুরের নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে জনসভা করেন তিনি। এরপর বেলা দুটার আগেই ফের হেলিকপ্টারে চেপে মালদার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি৷ মালদার ডিএসএ ময়দানের জনসভায় যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন বিজেপিকে যেমন আক্রমণ করেন নেত্রী, তেমনই দলত্যাগী উত্তর দিনাজপুরে দলের দুই প্রাক্তন পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব ব্যানার্জীকে ভুঁইফোড় বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারা প্রার্থী হল দেখার দরকার নেই। মনে রাখবেন এটা আমার ভোট। দলের কিছু নেতা সমস্ত সুখ ভোগ করে দল ছেড়েছে। ওরা নিজেদের বাঘ বলে মনে করে। ইঁদুরকে বাঘ তৈরি করা হয়েছিল, সেই বাঘই খেতে এসেছে। তাই তাঁকে ভস্ম করে আবার ইঁদুর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কটা গেছে, আপদ গেছে। যারা খারাপ তারা চলে গেছে। ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে”।
তৃণমূল নেত্রী বলেন ,যারা লোভী তাদের বাদ দিন, “যারা ভোগী তাদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিন, আর যারা ত্যাগী তাদের কাজ করতে দিন”। এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে নেত্রী আরও বলেন, “বিজেপির অনেক অহঙ্কার টাকা আছে বলে। টাকা দিয়ে মানুষকে তুলনা করা চলে না। টাকার থেকে মানবিকতার দাম অনেক বেশি। জীবন ক্ষণস্থায়ী, তাহলে এত টাকা দিয়ে কী হবে?” সভা মঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিজেপির রথযাত্রকেও চরম কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিরিয়ানি, মাংস, পোলাও, দশতলা হোটেলের সুযোগ সুবিধা নিয়ে রথযাত্রা করছে বিজেপি। ধর্মের নামে অধর্ম করছে। দেবতার রথ বিজেপির হতে পারে না। ওটা আসলে হোটেল, রথ নয়। বিজেপিকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি এদিন বাম-কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি নেত্রী। তিনি বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি এক হয়েছে। জগাই, মাধাই, গদাই তিনটাকেই দিতে হবে বিদায়।”