রাজ্য

কারা পাবেনই দলের টিকিট? উত্তরবঙ্গে এসে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল নেত্রী

উত্তরবঙ্গ সফরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের কর্মীসভায়। নাম না করে দলত্যাগীদের নিশানা করলেন। পাশাপাশি স্পষ্ট ইঙ্গিতে বোঝালেন, এবারের নির্বাচনে কাদের দেওয়া হবে দলের টিকিট।

Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে দলীয় কর্মীসভায় অংশ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীসভার মঞ্চ থেকে দলত্যাগীদের তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। দলত্যাগীদের নিশানা করে মমতা বলেন, “যত চোর-গুণ্ডাদের নিচ্ছে বিজেপি। ওটা যেন ওয়াশিং মেশিন। দুর্নীতিবাজদের নিচ্ছে আর ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে কালোকে সাদা করে দিচ্ছে। দুর্নীতিবাজ, চোর, দুষ্কৃতী সব বিজেপিতে যাচ্ছে আর সাফ হয়ে চলে আসছে। আর বলছে বিজেপি জিতবে। বিজেপি কোনো দিন জিতবে না। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, দার্জিলিং থেকে পাহাড়, সব জায়গাতেই তৃণমূল জিতবে। সারা বাংলায় তৃণমূলই জিতবে”।

বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিট অফিসে প্রায়ই বিক্ষোভ হচ্ছে। এই দুর্নীতি নিয়ে নাম না করে এদিন প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা সদ্য দলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো।” বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা শুধু ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়, আর ভোট হলেই পালিয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করে না। লকডাউনের সময় অভিবাসী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। একশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সব রকমের ব্যবস্থা করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটা ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারলেন না! আর দুর্নীতি বাজদের চাটার্ড ফ্লাইটে করে নিয়ে যাচ্ছেন।”

তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের শ্যালক, পদ্মের ঘরে ফুটল ঘাসফুল

এদিন তৃণমূলের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে বোঝাতে গিয়ে মমতা বলেন, যারা লোভী, যারা ভোগী, “আমরা তাড়াবার আগেই তারা সব চলে গেছে বিজেপিকে ভোগ করতে। তাদের জন্য রাস্তা খোলা। যারা তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন, তাদের মনে রাখতে হবে মা-মাটি-মানুষের কথা ভেবেই আমরা এই দলটা করি। এখানে লোভের কোনও জায়গা নেই।” এর পরেই মমতা বলেন, “আমি এখনও মনে করি, তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট টাকা দিয়ে বিক্রি হয় না। আমরা রাজ্যস্তর থেকে টিকিট দিই। জেলা থেকে প্রস্তাব পাঠাতে পারে। কিন্তু আমরা রাজ্যস্তর থেকে সার্ভে করে টিকিট দিই। আর আমাদের টিকিট পাওয়ার জন্য কোনও লবিও করতে হয় না। যে ৫ বছর ধরেই মানুষের সাথে থাকবে, যে ভাল কাজ করবে সে এমনিতেই টিকিট পাবে। দল তাকে খুঁজে নেবে।”

এদিন মমতা বলেন, “ওরা বলছে, বাংলায় ৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করে দেবে। মোদীজি দেখে যান, বাংলায় ৮৫ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করবে বলছে, বরং আসুন আপনাকে আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে মেপে নিন, কতটাতে ৬৫০ কিমি পথ হয়।” রাজ্যের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, পুরোটাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হয়েছে দাবি করে এ দিনের সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা।

Related News

Back to top button