রাজ্য

এক্স-রে প্লেটের সরবারাহ নেই, চরম সমস্যায় রোগীরা

সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ নেই এক্স রে প্লেটের। বন্ধ রয়েছে পরিষেবা৷ বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটছে রোগী।

 

Bengal Live বালুরঘাটঃ সরবরাহ নেই এক্স-রে প্লেট এর। গত ১৫ দিন ধরে কার্যত এক্স-রে পরিষেবা বন্ধ বালুরঘাট সদর হাসপাতালে। বিনামূল্যে এই সরকারি পরিষেবা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এক্স-রে করাতে গিয়ে সমস্যায় রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। গত কয়েক দিন ধরে এক্সরে প্লেট না থাকার সমস্যা থাকলেও হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের কোনও সমস্যা হয়নি, তবে বহিঃবিভাগে এক্স-রে করতে আসা রোগীদের হয়রানি হচ্ছিল। এদিন থেকে সমস্ত এক্স-রে পরিষেবাই কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে হাসপাতালে। ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগী ও তাদের আত্মীয়দের।

আলফানসো একাই একশো, অন্যরা একশো কেজি প্রতি

প্রসঙ্গত  নামমাত্র বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবাযুক্ত দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি হাসপাতালগুলোই সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল । বিশেষ করে দক্ষিণ বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসা-যাওয়া করেন। এই হাসপাতালেই বিনামূল্যে নানা  পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ডিজিটাল এ-ক্সরে।  বালুরঘাট হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগের এই পরিষেবা চালু হওয়ায় মানুষের সুবিধা হয়েছিল।

এছাড়াও সরকারি সংস্থা গুলি পিপিপি মডেলে এই পরিষেবা দেবার জন্য এগিয়ে আসায় আরো সুবিধা হয়েছিল। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১২০০ জন রোগী বিনামূল্যে এক্স-রে পরিষেবা পান সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রথম ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা থেকে পিপিপি মডেল ভেঙে যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সরে যাওয়ায় পুরো দায়িত্ব বর্তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর। কিন্তু তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব সহকারে এই পরিষেবা চালু রেখেছিলেন। কিন্তু মাস তিনেক আগে থেকে সরকারি বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার তরফ থেকে এক্স রে প্লেট সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমস্যায় পরে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে অ্যালোভেরা! জানুন এর ব্যবহার।

গঙ্গারামপুর হাসপাতাল ও বালুরঘাট হাসপাতালে এক্স রে পরিষেবা চালু রাখতে এরপর বাইরে থেকে এক্সরে প্লেট কেনা শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।  কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে প্লেট না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরেই মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। এদিন থেকে একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই পরিষেবা। বাধ্য হয়েই হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের পরিজনদের, বাইরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া দামে এক্স-রে করিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে।

এই বিষয়ে এক রোগীর বাড়ির লোক জানান , “আমাদের রোগীকে হাসপাতালেই এক্স-রে করানো হবে বলে দুদিন অপেক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু এই হাসপাতালে এক্স-রে ই হচ্ছে না । তাই বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে আনলাম।”
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, সরকারি এজেন্সি গত তিনমাস ধরে এক্স-রে প্লেট সরবরাহ করছে না। আমরা বাইরে থেকে প্লেট  কিনে পরিষেবা ঠিক রেখেছি। কিন্তু স্টক একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে।  দুই একদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।

সম্পুর্ণ নতুন স্বাদে বানিয়ে ফেলুন আম চিংড়ি। রইল রেসিপি।

Related News

Back to top button